Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে পালিয়ে এলেন মিয়ানমারের আরও তিন সেনাসদস্য

বৃহস্পতিবার

২১ আগস্ট ২০২৫


৬ ভাদ্র ১৪৩২,

২৬ সফর ১৪৪৭

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে পালিয়ে এলেন মিয়ানমারের আরও তিন সেনাসদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ৩০ মার্চ ২০২৪  
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে পালিয়ে এলেন মিয়ানমারের আরও তিন সেনাসদস্য

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আবারও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর তিন সদস্য। গতকাল শনিবার ভোর ৫টায় সশস্ত্র অবস্থায় তারা কোনারপাড়ার সীমান্ত দিয়ে ঢুকে প্রথমে এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের পাশের বিজিবি সীমান্তচৌকির কাছে হস্তান্তর করেন।

পালিয়ে আসা তিন সেনাসদস্য হেফাজতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর রিজিয়নের কর্মকর্তারা। তারা জানান, মিয়ানমারের উত্তর মংডুর মেইদেন এলাকা থেকে পালিয়ে ওই তিন সেনাসদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিতে এসেছেন।

উপজেলার ঘুমধুম কোনারপাড়া এলাকার লোকজন জানান, হাতে অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে কোনারপাড়ার হাফেজ আবুল কালামের বাড়িতে আসেন ওই তিন সেনাসদস্য। তারা খুবই ক্ষুধার্ত বিধ্বস্ত ছিলেন। হাফেজ আবুল কালামের পরিবারের সদস্যরা তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে খবর দিলে বিজিবি এসে তাদের নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, পালিয়ে আসা তিনজনের মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন। প্রাথমিকভাবে তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী আরাকান আর্মি উত্তর মংডুর মেইদেন এলাকায় তাদের ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়েছে। তাদের সামনেই ক্যাম্পের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করেছে আরাকান আর্মিরা। তারা তিনজন কোনোমতে পালিয়ে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন। অন্য সদস্যদের সঙ্গে কী ঘটেছে, তারা বলতে পারেন না।

এর আগে ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) শুল্ক বিভাগের ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। তাদের এখন নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর এলাকায় রাখা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের ভিত্তিতে ঘুমধুম উখিয়া এলাকায় এর আগে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি, সেনাবাহিনী শুল্ক বিভাগের ৩৩০ সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলে আসছে। বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তচৌকিগুলো বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে। ফলে মংডু জেলা শহরের কাছাকাছি এলাকার বিজিপি সেনাবাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। মংডু জেলা শহরের সঙ্গে রাখাইনের বুচিডং রাচিডংয়ের স্থল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়