Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2
আমদানি করা প্লাস্টিক পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব

সোমবার

০৯ ডিসেম্বর ২০২৪


২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

০৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আমদানি করা প্লাস্টিক পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৬:২১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
আমদানি করা প্লাস্টিক পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব

সংগৃহিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমদানি করা একাধিক প্লাস্টিক পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারাস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। সংগঠনটি বলছে, দেশে স্থাপিত প্লাস্টিক শিল্পকারখানাগুলো অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে সক্ষম। তাই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতেই উল্লেখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বিপিজিএমইএ ছাড়াও একাধিক সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আমদানি করা প্লাস্টিক পাইপ, টিউব, হোসে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্কের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, প্যালেটস, ক্রেট, টুথব্রাশ, প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বহাল ও ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

একই সঙ্গে আমদানি করা খেলনার ট্যারিফ মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া পণ্য বিক্রির ওপর ৭ শতাংশ অগ্রিম আয়কর কর্তন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

অন্যদিকে রপ্তানির সক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে, রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সব স্থানীয় ক্রয়কে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।

বিজিএপিএমইএ তাদের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি হিসেবে জানিয়েছে, ভ্যাট আইনে সব ক্রয়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান অফিস পরিচালনার জন্য স্টেশনারিসহ বেশকিছু দ্রব্যসামগ্রী স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয় করে। এসব ক্রয় প্রকারান্তরে উৎপাদন ও রপ্তানির সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর রপ্তানি সেক্টরকে সরাসরি কোনো আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের সুযোগ থাকবে না।

এছাড়া সব রপ্তানির ক্ষেত্রে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগামী ৫ বছরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করা, অর্জিত ব্যাংক সুদ আয়ের ওপর উৎসে কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন করতে ইউডি জারির ক্ষমতা, বন্ডের আওতায় এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিংয়ের ফিনিসড পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বিজিএপিএমইএ।

বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্যা চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করমুক্ত আয়সীমা ৬ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে।

এদিকে হিমায়িত মৎস্য পণ্য রপ্তানিকারক কারখানায় সরাসরি চিংড়ি ও মাছ ক্রয়ে ২ শতাংশ উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফ্রুটস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ) তাদের প্রস্তাবে কটন ওয়েস্ট আমদানি এবং রপ্তানি পর্যায়ের বর্তমান শুল্ক হার অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে।

বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাব শুনে তা যাচাই-বাছাই করে পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়