Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
পররাষ্ট্রের কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

শুক্রবার

০৯ মে ২০২৫


২৬ বৈশাখ ১৪৩২,

১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

পররাষ্ট্রের কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
পররাষ্ট্রের কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভগের চেম্বার আদালত। তবে তার পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন আদেশও দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, এই মামলায় জাকিরকে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট জামিন দেন। ওই জামিনের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। শুনানি শেষে দুই শর্তে তার জামিন বহাল রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো বিচারিক আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না।

তিনি আরও জানান, কেনিয়ায় থাকা অবস্থায় ৪১ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক অর্থ পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা জব্দ করেছে দুদক। এ ছাড়া ১৫ কোটি টাকার ওপরে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ১৪ মার্চ মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এজাহারে তার নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬ টাকার সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে এসব সম্পদের বৈধ উৎস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

মামলার এজাহারে তার স্থাবর সম্পদ হিসেবে রাজধানীর ধানমন্ডির ১ নং রোডের ৫ নং বাড়িতে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৮শ’ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার খিলগাঁওয়ের নন্দিপাড়ায় ২৬৩ অযুতাংশ জমির উপর পাঁচ তলা বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭শ’ টাকাসহ মোট স্থাবর সম্পদ ১ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ২শ’ টাকার উল্লেখ করা হয়।

আর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে সঞ্চয়পত্রই রয়েছে ১৩ কোটি টাকার। ব্যাংকে গচ্ছিত ৭২ হাজার ৫০৬ টাকা, হাতে নগদ রয়েছে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭০ টাকা। টয়োটা ব্রান্ডের ১৫০০ সিসির প্রাইভেট কার ক্রয় করেছেন ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকায়। সর্বমোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের উল্লেখ করা হয় মামলায়।

দুদক অভিযোগ করে, জাকির হোসেন স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা ভোগ-দখল করছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, জাকির হোসেনের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে বাগেরহাট জেলা শাখায় সাতটি হিসাবে ৩১ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৯১৩ টাকা, ঢাকায় সোনালী ব্যাংকের ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখায় একটি হিসাবে ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ৯৩০ টাকা ও পদ্মা ব্যাংকের ঢাকাস্থ ধানমন্ডি শাখায় ১৫টি মেয়াদী এফডিআর হিসাবে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৯ টাকাসহ সর্বমোট ৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ২ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ওইসব লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থের বৈধ উৎস সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি।

তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এবং ওইসব হিসাবসমূহে অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপার্জিত অপরাধলব্ধ আয়ের ৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ২ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করে দুদক।

এজাহারে বলা হয়, জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তারপর তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন কেনিয়ার নাইরোবিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়