বুধবার

২৪ এপ্রিল ২০২৪


১১ বৈশাখ ১৪৩১,

১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৫০০ টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১২:১৪, ২৮ মে ২০২৩  
ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৫০০ টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা

সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গু পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ মূল্য ৫০০ এবং সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকা। এর বেশি টাকা নেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ রোববার (২৮ মে) সকালে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুশিয়ারি দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমরা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দিয়েছি। এই গাইডলাইন অনুযায়ী সবাইকে চিকিৎসা দিতে হবে। প্লাটিলেট ব্যবহার নিয়েও গাইডলাইনে নির্দেশনা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরীর পর দেশে সবচেয়ে বেশি রোগী কক্সবাজারে। জেলার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরও সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে। তবে ভাইরাসটি প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা কঠিন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে কাজও সেভাবে করা যায় না। ঢাকায় ওয়াসার পানি ধরে রাখতে হলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানি সরবরাহের ব্যবস্থা খুব কম। ফলে তারা বিভিন্ন গর্ত থেকে পানি সংগ্রহ এবং অনেক সময় পানি খোলা পাত্রে রেখে দেয়। এ ছাড়া তাদের সচেতনতার বিষয়টি আরও কম।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় জনগোষ্ঠী বেশি হলেও বড় জায়গা রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জায়গায় কম, মানুষ বেশি। ফলে সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে ১ হাজার ৬৬ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

ঢাকার মশার উপদ্রবের কথা জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় যেখানে ঘনবসতি বেশি সেখানে মশার উপদ্রব বেশি। তবে নির্দিষ্ট করে কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সেটি বলা এই মুহূর্তে কঠিন। রোগীদের তথ্য যাচাই করে তারপর বলা যাবে। আমরা পুরো ঢাকা শহরকেই বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের কাজ রোগী ব্যবস্থাপনা। ডেঙ্গু কোথায় বেশি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের।

রোগী জটিলতার বিষয়ে অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ঢাকা শহরে অপরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠছে। ঠিক ব্রাজিলের মতোই। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই আমরা প্লাটিলেটকে সামনে আনি। অথচ এটি সেভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের উচিত সচেতনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়