Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
২০০ কোটি টাকার জালনোট ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল জালিয়াত চক্রের

রোববার

১১ মে ২০২৫


২৮ বৈশাখ ১৪৩২,

১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

২০০ কোটি টাকার জালনোট ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল জালিয়াত চক্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৯:১৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
২০০ কোটি টাকার জালনোট ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল জালিয়াত চক্রের

সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে ডলার সংকটের সুযোগে ডলার ও রুপির জাল নোট তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে একটি চক্র। অনেকেই কম দামে এসব জাল মুদ্রা কিনে প্রতারিত হচ্ছে। এ রকম জাল রুপি ও ডলার তৈরি চক্রের চার সদস্যকে সম্প্রতি গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের দাবি—রমজানকে সামনে রেখে প্রায় ২০০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি জালনোট বাজারে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল চক্রটি।

আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—উজ্জ্বল দাস ওরফে সোবহান শিকদার, আব্দুর রশিদ, মমিনুল ইসলাম ও শাহ মো. তুহিন আহমেদ ওরফে জামাল ।

গ্রেপ্তারের সময় চারজনের কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকা মূল্যের জাল টাকা, ভারতীয় রুপি ও আমেরিকান ডলার, এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও জালনোট তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রমজানকে সামনে রেখে প্রায় ২০০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি জালনোট বাজারে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল চক্রটি। এ অবস্থায় সবাইকে ব্যাংক অথবা অনুমোদিত জায়গা থেকে ডলার কেনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

ডিবি প্রাধান বলেন, ‘গত ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালনোট ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরিকারক চক্রের মূল হোতা উজ্জ্বল দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দারুসসালামের একটি বাসা থেকে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

ডিবি প্রধান আরও জানান, চক্রটি মতিঝিল এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ, নয়াবাজার ও মিটফোর্ড থেকে রঙ, ফয়েল সংগ্রহ করে বিভিন্ন দেশের জালনোট ও স্ট্যাম্প তৈরি করে আসছিল। বর্তমানে ডলার সংকট হওয়ায় তারা ভারতীয় জাল রুপি ও আমেরিকান জাল ডলার তৈরি করে বিদেশেও পাচার করছিল।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আরও জানান, তাদের সারা দেশে এজেন্ট রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এক কোটি টাকার জালনোট ১০ লাখে, এরপর ২০ লাখ ও প্রান্তিক ধাপে ৫০ লাখে বিক্রি করতেন। এজেন্টদের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো পরিমাণের জালনোট প্রস্তুত করে দিতেন তারা। বাংলাদেশি টাকার ক্ষেত্রে তারা কম মূল্যমানের নোট যেমন—১০০ ও ২০০ টাকার নোটও জাল করছিলেন। যা প্রায় খালি চোখে ধরা অসম্ভব।

ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, ‘তাদের কাছে যে পরিমাণ জাল টাকা তৈরির কাগজ ও অন্যান্য উপকরণ পাওয়া গেছে, তা দিয়ে আগামী রমজান ও ঈদুল ফিতরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার জাল নোট ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প বাজারে ছাড়তে পারত।’

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সস্তায় পেয়ে বাইরে থেকে ডলার কিনে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। এর দায় যে কিনবে তারই, কারণ ডলার কেনা উচিত ব্যাংক অথবা অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ থেকে।’

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়