তুরাগে বিস্ফোরণ: একে একে মারা গেলেন দগ্ধ আটজনই
|| বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৩ আগস্ট): রাজধানীর তুরাগে ভাঙাড়ি দোকান ও তার পাশের রিকশা গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আটজনই একে একে মারা গেছেন। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাত দশটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বশেষ মারা গেছেন মো. শাহিন (২৫)।
মারা যাওয়া আটজনের ছয়জনই রিকশা চালক। ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণের মাধ্যমে ওই অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়।
আজ শনিবার সকালে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি বলেন, শাহিনের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে ওই আগুনের ঘটনায় দগ্ধ বাকি সাতজন মারা গেছেন।
নিহত শাহিনের ভাই আরিফুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানায়। শাহিন তুরাগ কামারপাড়া এলাকায় থাকতেন।
এর পূর্বে, গত ৬ আগস্ট দুপুরে কামারপাড়া এলাকায় গাজী মাজহারুল ইসলামের গুদামে ওই বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ৩২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান মাজহারুল ইসলাম, ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আলম ও ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে নূর হোসেন মারা যান। রবিবার রাতে মারা যান ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মিজানুর রহমান, সোমবার রাতে মারা যান ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মাসুম মিয়া, ৭৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আল-আমীন। মঙ্গলবার রাতে ৮০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুদামটি লাগোয়া রিকশার একটি গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজের রিকশা চালকদের নিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জার সরানোর সময়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে পারলেও সেখানে থাকা ৮ জনই দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। গত কয়েক দিনে তারা সবাই মারা যান।
যারা মারা গেছেন তারা সবাই দরিদ্র পরিবারের; প্রায় সবাই পেশায় রিকশাচালক।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান গণমাধ্যমে জানান, বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার কারণ তারা অনুসন্ধান করছেন। এ জন্য ফায়ার সার্ভিসের মতামতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হতাহত পরিবারগুলো দরিদ্র হওয়ার পরও মালিকপক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাচ্ছে না। কারণ, গ্যারেজ মালিকও ওই বিস্ফোরণে মারা গেছেন।