চার লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ফাইল ফটো
ঢাকা (০৩ জুলাই): শুল্ক কমানোর পর বেসরকারি খাতে চার লাখ নয় হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে তিন লাখ ৭৯ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং ৩০ হাজার টন আতপ চাল আমদানি করা হবে। অনুমতি প্রাপ্ত ৯৫টি প্রতিষ্ঠান শর্ত সাপেক্ষে এই চাল আমদানি করবে।
গত ৩০ জুন চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের তালিকা প্রকাশ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ২৬ জুন আগ্রহী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বোরো মৌসুম শুরুর পর অভ্যন্তরীণ বাজোরে চালের দাম বাড়তে থাকায় সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকার নোটিশে বলা হয়েছে, বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চাল আমদানির এলসি চালু করে সেই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এছাড়া ১১ অগাস্টের মধ্যে আমদানি করা চাল বাজারজাত করতে হবে।
আমদানি করা চাল গুদামজাত করার তথ্য জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে। আমদানির পর সেই চাল স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেট করা যাবে না, আমদানির বস্তায় বিক্রি করতে হবে। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলসি চালু করতে না পারলে বরাদ্দ আদেশ বাতিল হয়ে যাবে।
বাজার বিশ্লেষনে দেখা যায়, গত দুই মাস ধরে দেশে সরু চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল মাঝারি ও মোটা চালের দাম। বর্তমানে বাজারে মোটা চাল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা এবং মাঝারি চাল ৫৫ টাকা থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েক দফার পর্যালোচনার পর গত ২৫ জুন চাল আমদানিতে বিদ্যমান ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক, ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর এবং ৫ শতাংশ অ্যাডভান্সড ট্রেড ভ্যাটসহ (এটিভি) মোট ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছিল।
এর মধ্যে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশের পুরোটাই প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর নিয়ন্ত্রণমূলক আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অগ্রিম কর হিসেবে ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।