Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
বন্ধুকে নিয়ে শিমুকে হত্যা করেন নোবেল

রোববার

১৩ জুলাই ২০২৫


২৯ আষাঢ় ১৪৩২,

১৭ মুহররম ১৪৪৭

বন্ধুকে নিয়ে শিমুকে হত্যা করেন নোবেল

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ২১ জানুয়ারি ২০২২  
বন্ধুকে নিয়ে শিমুকে হত্যা করেন নোবেল

রাইমা ইসলাম শিমু

ঢাকা (২১ জানুয়ারি): অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যায় গ্রেপ্তার তার স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল শুরুতে একাই খুন হত্যার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ভিন্ন তথ্য দিলেন তিনি। 

তিনি জানালেন, একা নন; হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন নোবেলের বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদ। দুজন মিলে হত্যাকাণ্ড শেষ করে লাশ লুকান।

গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল ও ফরহাদ নতুন তথ্য দেন।  একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

জবানবন্দিতে কেন, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সে তথ্যও উঠে এসেছে। স্ত্রী শিমু মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে কথা বলেন, কোথায় যান তা নিয়ে প্রতিনিয়ত সন্দেহ করতেন নোবেল। গত রবিবার সকালে হঠাৎ স্ত্রীর ফোন দেখতে চান নোবেল। কে কল করল, তা দেখতে চান। এতে বাধা দেন শিমু। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হয় প্রচণ্ড ঝগড়া।

ঝগড়ার একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ওই দিন সকাল ৮টার দিকে নোবেলের বাসায় যান ফরহাদ। আগে থেকেই কথা ছিল, টাকা ধার নিতে ওই সময় বন্ধুর বাসায় যাবেন তিনি। ফরহাদ যাওয়ার পর ফ্ল্যাটের দরজাও খুলে দেন শিমু। এরপর তারা ডাইনিং টেবিলে বসে চা খান। কিছু সময় পর শিমুর ফোন দেখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালে ফরহাদ তা থামানোর চেষ্টা করেন।

এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে নোবেল স্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, তোকে আজ শেষ করে দেব। এরপর শিমুকে হত্যা করতে ফরহাদের সহায়তা চান নোবেল। বন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুজনে মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। 
তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শিমুকে হত্যা করা হয়।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার গ্রীন রোডের বাসায় শিমুকে হত্যার পর কেরানীগঞ্জে মরদেহ ফেলে আসেন নোবেল। এরপর কলাবাগান থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তিনি। মঙ্গলবার নোবেল ও ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। রিমান্ডের এক দিন পার হওয়ার পরই তারা আদালতে এই স্বীকারোক্তি দেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই চুন্নু মিয়া বলেন, শিমুর লাশ প্রথমে মিরপুরে গুম করার পরিকল্পনা ছিল। কয়েক ঘণ্টা ঘুরে গুম করার পরিবেশ না পেয়ে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়