বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী আর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী
ঢাকা (২৭ ডিসেম্বর): বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, তিন তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী আর নেই। আজ সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
ফেনী- ২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও পৃথকভাবে শোক প্রকাশ ও তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী ফেনী-২ (সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ফেনীর ‘গডফাদার’ নামেও পরিচিত হন।
আওয়ামী লীগের নেতা জয়নাল হাজারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০১ সালের ১৭ আগস্ট দেশ ছাড়েন। তিনি ২০০৪ এর পর দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ফেনী থেকে ‘হাজারিকা’ নামে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সম্পাদকও ছিলেন তিনি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ফিরেন তিনি।
১৯৭১-এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী ১৯৪৫ সালের ২৪ আগস্ট ফেনী শহরের সহদেবপুরে হাবিবুল্লাহ পণ্ডিতের বাড়িতে আবেদীন হাজারীর জন্ম। জয়নাল হাজারীর পিতার নাম আব্দুল গণি হাজারী ও মাতার নাম রিজিয়া বেগম। হাবিবুল্লাহ পণ্ডিত ছিলেন তাঁর নানা।
জয়নাল হাজারী ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ছাত্রাবস্থায় ফেনী সরকারি কলেজে তৎকালীন ছাত্র মজলিশের (বর্তমান ছাত্র সংসদ) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন। এরপর বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। পরে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদেও দায়িত্ব পালন করেন জননেতা জয়নাল আবেদীন হাজারী।