Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
দ্রুত ছড়ালেও ওমিক্রন ভয়ংকর নয়: ড. বিজন কুমার

মঙ্গলবার

০১ জুলাই ২০২৫


১৭ আষাঢ় ১৪৩২,

০৪ মুহররম ১৪৪৭

দ্রুত ছড়ালেও ওমিক্রন ভয়ংকর নয়: ড. বিজন কুমার

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ৭ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ২০:৩৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
দ্রুত ছড়ালেও ওমিক্রন ভয়ংকর নয়: ড. বিজন কুমার

ছবি: অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল

ঢাকা (০৭ ডিসেম্বর): করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়ালেও ভয়ঙ্কর নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বলেছেন, ধারণার চেয়েও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। যা ইতিমধ্যে ৪৫টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। তবে ডেল্টা ধরনের ন্যায় এটি ভয়ংকর নয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ডেল্টা-ওমিক্রন' ভিত্তিক'-বিজ্ঞান, নৈতিকতা ও বৈষম্য বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং অধ্যাপক (ডা.) মো. সায়েদুর রহমান, চেয়ারম্যান, ফার্মাকোলজি বিভাগ, বিএসএমএমসইউ। সেমিনার পরিচালনা করেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বিজন কুমার বলেন, ওমিক্রনকে ভয়ংকর ভাবার কারণ এর মিউটেশন। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ধরনের সর্বোচ্চ ১৫টি মিউটেশন হয়েছে। সেখানে ওমিক্রনের হয়েছে ৫০টি। যার ৩২টি স্পাইক প্রোটিন। যা দিয়ে সে মানুষকে খুব সময়ে সংক্রমিত করে এবং এর মাধ্যমে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। এই যে ব্যাপক পরিবর্তন। এতে করে এ ধরন শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। আর এ জন্যই মনে করা হচ্ছে, হয়তো ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও ভয়ানক হবে।

তিনি বলেন, ফিউরিন নামক একটি প্রোটিন পুরো ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। এটি সার্সকপ-১ এ ছিল না, তবে সার্সকপ-২তে আছে। এখন এটি যদি আরও বিস্তার লাভ করে তাহলে ডেল্টার চেয়েও মারাত্মক হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে ডেল্টার মত আতঙ্কিত করার মত অবস্থায় যায়নি ওমিক্রন। তবে এটাই শেষ নয়, খারাপ হতে পারে। আফ্রিকা থেকে অন্যান্য দেশে শনাক্তের পর এটি আরও শক্তিশালী হয়েছে, সংক্রমণ যত বাড়বে ততটাই এটি মারাত্মক হতে থাকবে।

ড. বিজন কুমার বলেন, ইতিমধ্যে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা অনেকটা সুরক্ষিত। তবে এর বিপরীতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু সে সম্পর্কে এখনো পর্যালোচনা চলছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, একদিনের লকডাউনে তিন হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অথচ যদি বিনা টাকায় নমুনা পরীক্ষা যেত, প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারতাম তাহলে অর্থনীতি সচল থাকত।

তিনি বলেন, এই দেশে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের অর্ধেক বেলা খাবারে জন্য কাজ ফেলে আসা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে পরীক্ষার জন্য মানুষকে টাকা দিতে হবে, তবেই আমরা লকডাউন নামক এই জঞ্জাল থেকে মুক্তি পাব।

ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, এখন রেস্টুরেন্টে গেলে ভ্যাকসিন সনদ চায়। আমরা জানি, নিবন্ধিত ৮০-৯০ লাখ এবং নিবন্ধন ছাড়া প্রায় কোটির মত বয়স্ক মানুষ এখনো টিকার বাইরে। আমাদের বুঝতে হবে ঝুঁকি কার বেশি। ঝুঁকিতে থাকা মানুষের টিকা নিশ্চিত না করে নিচে নেমে আসা, বুস্টার ডোজ দেওয়া অনৈতিক, এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়। যেখানে মৃতদের বেশির ভাগেই বয়স্ক, সেখানে তারা টিকার বাইরে থাকার তো কোন কারণ নেই।

 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়