ব্যবসায়ীকে এমপির মারধরের ঘটনায় আসক-এর নিন্দা
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের লোগো
ঢাকা (২৩ সেপ্টেম্বর): বরগুনায় রাস্তায় সাইড না দেওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানের ‘মারধর’ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
বৃহস্পতিবার আসক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার বিকেলে বরগুনার পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত একটি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান। খেলা শুরুর আগে সংসদ সদস্য ও তার লোকজন মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে মাঠে আসছিলেন। এ সময় রাস্তায় খেলোয়াড়দের বহনকারী একটি মাইক্রোবাসকে এমপির লোকজন সাইড দিতে বলেন। কিন্তু ওই মাইক্রোবাস মোটরসাইকেল বহরকে সামনে যাওয়ার জায়গা না দিতে পারায় শওকত ক্ষুদ্ধ হন।
পরে শওক মঞ্চে উঠে ওই মাইক্রোবাসে থাকা পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাথরঘাটা পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে ডেকে মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে নজরুলকে এমপির পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
ঘটনার সময় সেখানে পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জমাদ্দারসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জনপ্রতিনিধি এবং আইন প্রণেতা হয়েও শওকত হাচানুর রহমান অশোভন আচরণ করেন যা একজন এমপির কাছ থেকে মোটেও কাম্য নয়। শওকত হাচানুর রহমানের এহেন কর্মকাণ্ডে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আসক মনে করে, এ ধরণের আচরণ মানবসত্তার প্রতি অত্যন্ত অবমাননাকর যা সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের থাকা বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণীয় মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।