আজ থেকে সিএনজি স্টেশন ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৯ সেপ্টেম্বর): বিদ্যুতের উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রবিবার থেকে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগামী আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নতি হওয়ার পর এই রেশনিং বন্ধ করা হবে।
গত বুধবার সরকারের পক্ষ থেকে দৈনিক চার ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সময় জানানো হয়েছিল, পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হলে পর্যাপ্ত গ্যাসের প্রয়োজন রয়েছে।
পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সিএনজি খাতে গ্যাস রেশনিঙের ফলে ৮২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশন আগামী দুই মাস দৈনিক ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন্স) প্রকৌশলী আলী মো. আল-মামুন এ বিষয়ে বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার কারণে আমরা বর্তমানের চাইতে বেশি গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহ করতে পারব। এর ফলে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
কত দিন এই রেশনিং চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজার থেকে এলএনজি কিনতে আড়াই তিন মাস সময় লেগে যাবে। সেই এলএনজি আসলে রেশনিং বন্ধ করা যাবে। তিনি জানান, আর্ন্তজাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়া স্পট মার্কেট কেনা যাচ্ছে না। এখন ৫৮০ থেকে ৬ শ’ মিনিয়ন ঘনফুট এলএনজি পাওয়া যাচ্ছে।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, সংকটময় মুহূর্তে সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাগত জানাই। তবে আমরা বলছি, এই রেশনিং ব্যবস্থার চাইতেও দেশে তেল গ্যাস অনুসন্ধান কাজ জোরদার করা খুব জরুরি। আর না হলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।