Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনের নুরুলের ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদ: র‌্যাব

সোমবার

১৬ জুন ২০২৫


৪ আষাঢ় ১৪৩২,

১৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনের নুরুলের ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদ: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২২:৪১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  
দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনের নুরুলের ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদ: র‌্যাব

দালালি ও অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলাম

ঢাকা (১৪ সেপ্টেম্বর): দালালি ও অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া টেকনাফ বন্দরের সাবেক চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলামকে সোমবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

আজ মঙ্গলবার কারওয়ানবাজার, র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক, কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ওই অভিযানে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের জাল নোট, মায়ানমারের ৩ লাখ ৮০ হাজার মুদ্রা, ৪ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং নগদ ২ লাখ ১ হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক জানান, চুক্তিভিত্তিক সাধারণ কম্পিউটার অপারেটর থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। দৈনিক ১৩০ টাকা হারে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি নেওয়ার পরেই যেন কপাল খুলে যায় নুরুল ইসলামের। টেকনাফ বন্দরে থাকাকালে, চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসা, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস, দালালি ইত্যাদির কৌশল রপ্ত করে সে। এ পথেই ওই কম্পিউটার অপারেটর হয়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক।

খন্দকার আল মঈন আরও জানান, তার নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ১৯টি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে তার। বর্তমানে নুরুল জাহাজ শিল্প ও গাজীপুরে বিনোদন পার্কে বিনিয়োগ করছে।

র‍্যাব জানায়, তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৪৬০ কোটি টাকা। অবৈধ আয়ের উৎসকে ধামাচাপা দিতে গ্রেফতার হওয়া নুরুল ইসলাম নামে-বেনামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে। ইতোমধ্যে ঢাকা শহরে তার ৬টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট ক্রয় করেছে। 

খন্দকার আল মঈন আরও জানান, গ্রেফতার হওয়া নুরুল ইসলাম বন্দরে বিভিন্ন রকম দালালির সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়। সে এক পর্যায়ে একটি দালালি সিন্ডিকেট তৈরি করে । ২০০৯ সালে সে চাকরি ছেড়ে দেয়। তবে, তার সৎ-ভাইকে ওই কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের দেয়। কিন্তু সে দালালি সিন্ডিকেটটির নিয়ন্ত্রণ রেখে দেয়। এভাবে সে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

গ্রেফতার নুরুল টেকনাফ বন্দরকেন্দ্রিক দালালি সিন্ডিকেটের অন্যতম মূলহোতা। তার সিন্ডিকেটের ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছে। যারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দালালি কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়