মঙ্গলবার

১৮ নভেম্বর ২০২৫


৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২,

২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ঈদের নামাজ খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে পড়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২৬ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ২২:৫১, ২৬ এপ্রিল ২০২১
ঈদের নামাজ খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে পড়ার নির্দেশ

ছবি: ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লোগো

ঢাকা (২৬ এপ্রিল): আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত কাছের মসজিদে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য  জানিয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করা যাবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারিকরা নির্দেশাবলিসহ বিশেষ সতর্কতা অনুসরণ করে শর্তসাপেক্ষে এ বছরের পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাতে আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এতে বলা হয়, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাতে আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মুসল্লীদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত কাছের মসজিদে আদায় করার অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করা যাবে।

বিশেষ নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
নামাজের আগে সম্পুর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
মুসল্লীরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।
প্রত্যেককে বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ঈদের নামাজের জামাতে মুসল্লীকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে।
শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধ নিশ্চিতে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত না মেলানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিন এর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মসজিদের খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়