হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী
ঢাকা (২৬ এপ্রিল): হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন সংঘটনটির আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী।
রবিবার রাত ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন ।
জুনায়েদ বাবুনগরী এ সময় বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন, দ্বীনী সংগঠন হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের পরামর্শক্রমে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধমে আবার হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। ওই সংঘাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মিলিয়ে মোট ১৮ জন প্রাণ হারান। জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙ্চুর তথা তাণ্ডব চলে বহু স্থানে। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়।
আবার এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ জনতার হাতে ধরা পড়েন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত রাজধানীর মতিঝিল অঞ্চলে যে তাণ্ডব চালায় সেসব ঘটনার মামলাগুলো সক্রিয় করা হয়।
ফলে, সরকারের এই কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।
হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীর বাসায় দেখা করে দলের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার না করার অনুরোধ জানান। অবশ্য, সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ভেঙে দিলেন হেফাজত নেতারা।
এদিকে, রবিবার দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। হেফাজতের সহিংসতার পর চলমান পরিস্থিতিতে বোর্ডটির স্থায়ী কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সভায় কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা প্রচলিত সর্বপ্রকার রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।






















