ঢিলেঢালা লকডাউনে ভোগান্তিতে মানুষজন
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: লকডাউনে রাজধানীর ব্যস্ততম একটি সড়ক, বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (২২ এপ্রিল): দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বা সর্বাত্নক লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনের শুরুতেই ভেঙ্গে পড়েছে সকল নির্দেশনা। কেউ মানছে না সরকারের নির্দেশনা। বরং ঢিলেঢালা লকডাউনে বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি ও হয়রানি।
প্রসঙ্গত, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে।
লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়কেই ছিলো যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ। রাস্তায় অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষের উপস্থিতি ছিলো উল্লেখ করার মতো। গণপরিবহনের মধ্যে শুধুমাত্র বাস ছাড়া আর সবই চলছে। ব্যাক্তিগত পরিবহনের আধিক্য ছিলো সবচেয়ে বেশী। এমনকি প্রধান সড়কের পাশে থাকা অনেক দোকানই খোলা দেখা গেছে। কিছু দোকানপাট বন্ধ ছিলো। এছাড়া রাজধানীর অলিগলি আর হাটবাজারে আগের মতোই সব খোলা রয়েছে।
এছাড়া আগের মতো সকল কল কারখানা, গার্মেন্টস, অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ছিলো উল্লেখ করার মতো। তবে ঢিলেঢালা লকডাউনে যারা নিতান্তই প্রযোজনে বের হয়েছেন, কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন তাদের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। অবস্থাপন্নরা নিজস্ব বাহনে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বিশেষ করে অনেক অফিসগামী যাত্রী পরিবহনের অভাবে বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। তাদের অভিযোগ সরকার সবই খুলে দিচ্ছে কিন্তু আমরা কিভাবে চলাচল করবো সেটাতো ভাবছে না। তাদের অনেকেই জানান, প্রতিটি অফিস থেকে গাড়ি ব্যবস্থা করার নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
জাহানারা আলম। থাকেন মগবাজার মধুবাগ। তিনি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণায় বৃহস্পতিবার থেকে অফিসে যেতে হচ্ছে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, আমার অফিস ধানমন্ডিতে। মগবাজার থেকে ৫০ টাকা দিয়ে কাওরান বাজার এসেছি। এখন কাওরান বাজার থেকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে যাবো, কোন রিক্সা পাচ্ছি না। আর যা পাই তাতে ভাড়া দ্বিগুনের চাইতেও বেশি। সিএনজিতেও একই অবস্থা।
এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থাকা পুলিশ চেকপোষ্টের অনেকগুলো ফাঁকা থাকতে দেখা গেছে। আর যেসব চেকপোষ্টে পুলিশ ছিলো, সেখানে তল্লাশী কার্যক্রম শিথিল করতে দেখা গেছে। ফলে লকডাউনকালীন যেকোন সময়ের তুলনায় এদিন রাস্তায় রিক্সা, সিএনজি ও ব্যাক্তিগত গাড়ি ছিলো অনেক বেশি।