প্রথম দফা শেষ, কাল থেকে শুরু দ্বিতীয় দফা লকডাউন
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

রাস্তায় যানবাহনের উপস্থিতি দেখে মনে হয় না দেশে লকডাউন চলছে। ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (২১ এপ্রিল): করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত প্রথম দফার ‘বিধিনিষেধ’ বা লকডাউন আজ বুধবার শেষ হচ্ছে। কিন্তু দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের মেয়াদকাল আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। লকডাউনের এ বর্ধিত সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে।
এদিকে বর্ধিত সময়ে লকডাউন আরো কঠোর ভাবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সারাদেশে ১৪ এপ্রিল থেকে প্রথম দফার লকডাউন শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে বেশ কড়াকড়ি লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু পঞ্চম দিনের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে লকডাউন মানার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা ভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস না চলাচল করলেও প্রাইভেট গাড়ি, রিকশা, ভ্যানসহ অন্যান্য যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এমন কি কোন কোন রাস্তায় যানজটও দেখা গেছে। নগরীর মূল সড়কে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেলেও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে তেমন কোন বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। সরকারি কঠোর নির্দেশনা অমান্য করেই অনেক জায়গায় দোকানপাট খোলা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহারের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও রাস্তায় অনেককেই মাস্ক ছাড়া নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বাড়ার কারণে সরকার সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন এই লকডাউন আরও কঠোর হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি লকডাউনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। সায়েন্টিফিকালি তো ১৪ বা ১৫ দিন লকডাউন না হলে সংক্রমণের চেইনটা পুরোপুরি ভাঙা সম্ভব হয় না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আগের শর্ত মেনে লকডাউন কনটিনিউ (অব্যাহত) করবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সময়ে আগের সপ্তাহের মতো একই বিধিনিষেধ থাকবে। এই লকডাউন আরও কঠোর হবে।’
দেশে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকে এবং মার্চের শুরুতে এসে সেটি তীব্র আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের জন্য ‘বিধিনিষেধ’ শুরু হয়। পরে আরও দুই দিন বাড়িয়ে শেষ হয় ১৩ এপ্রিল। এরপর সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ ঘোষণা করে।