বুধবার

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫


২ আশ্বিন ১৪৩২,

২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

‘স্পুটনিক’ ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া: পরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ২১ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ২০:৩৭, ২১ এপ্রিল ২০২১
‘স্পুটনিক’ ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া: পরাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এক আব্দুল মোমেন (ফাইল ছবি)

ঢাকা (২১ এপ্রিল): বাংলাদেশে স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যালগুলোর সহযোগিতায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক’ উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এক আব্দুল মোমেন সম্প্রতি বাসসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে কোভিড ভ্যাকসিন চাওয়ার প্রেক্ষিতে রাশিয়া এ প্রস্তাব দিয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের সহ-উৎপাদনে তাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছি। যদিও এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।’

ড. মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপুল চাহিদার প্রেক্ষিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটি রপ্তানি করার মতো পর্যাপ্ত উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় মস্কো বাংলাদেশে এ ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রস্তাব অনুযায়ী রাশিয়া প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে আর বাংলাদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো এখানেই স্পুুটনিক ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে।

ড. মোমেন বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এটা তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হবে এবং আশা করা যায় যে, এটা অপেক্ষাকৃত ভাল হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য স্থংস্থা (ডব্লিউএইচও)’র অনুমোদন না থাকায় বাংলাদেশ এর আগে চীনের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। আমরা ভ্যাকসিন পেতে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশকে জানিয়েছে যে, তারা ইতোমধ্যেই তাদের ভ্যাকসিন অন্যান্য দেশে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় ডিসেম্বরের আগে তারা আর কোন ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে না।
ড. মোমেন আরো বলেন, পাশাপাশি, সম্প্রতি বিশ্ব-ব্যাংক কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে আগামী মাসে ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেবে বলে জানিয়েছে। ‘আমরা কোভ্যাক্সের আওতায় ওই ভ্যাকসিনগুলো পাব বলে আশাবাদি।’

ড মোমেন বলেন, ‘ভারত আমাদের জানিয়েছে যে- তারা ভ্যাকসিন পাঠাবে। তারা কখনোই বলেনি যে তারা ভ্যাকসিন পাঠাতে পারবে না।’

ভারতে আশ্বাসে ঢাকার আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুক্তির সময়সীমার মধ্যেই আমরা ৩০ মিলিয়ন ডোজের সব ভ্যাকসিন পাব বলে ঢাকা আশাবাদি। তবে ঢাকা আশংকা করছে যে, ভারতে উৎপাদিত ভ্যাকসিন তাদের নিজ দেশের টিকার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টিকা প্রদানে তাদের যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা পূরণে পর্যাপ্ত নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের অল্প যে কয়েকটি দেশ প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করে তাদের মধ্যে স্থান পেয়েছে। ভাইরাসের বিস্তারের প্রথম দিন থেকেই তিনি ভ্যাকসিন পাবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এছাড়াও সরকার দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়