পুলিশ-চিকিৎসকের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: বিপিএসএ ও বিএমএ-এর লোগো
ঢাকা (১৯ এপ্রিল): করোনাভাইরাস বেড়ে যাওয়ার কারণে সারা দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন (বিপিএসএ) ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)।
সোমবার সংশ্লিষ্টদের সংগঠনের প্যাডে দেওয়া বিবৃতির মাধ্যমে তারা এ নিন্দা জানান ও বিচার দাবি করেন।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাঃ শফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জায়েদুল আলম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনৈক চিকিৎসক আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কর্তব্যরত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়টি এসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ঘটনা পর্যালোচনার দেখা গেছে, চিকিৎসককে পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তিনি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি শুধু ওই পুলিশ সদস্যদেরই অপমান করেননি, গোটা পুলিশ বাহিনীকেই কটাক্ষ ও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। ওই চিকিৎসক বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাদানুবাদকালে যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন তা অত্যন্ত অরুচি ও লজ্জাজনক। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের তুই বলে সম্বোধন করেছেন এবং ‘আর আমি কি , সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা’ বলে হুমকি দিয়েছেন।
প্রতিবাদ লিপিতে তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। নিজ মন্ত্রণালয়ের আদেশ লংঘন এবং কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে উক্ত চিকিসৎকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন জোর দাবি জানাচ্ছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব ডা. মোঃ ইহতেশামুল হকে চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে চলমান লকডাউনে করোনা মোকাবিলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীগণ কর্মস্থলে যাতায়াতকালে বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃথলা রক্ষাকারী বাহিনী হাতে হয়রানী ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। এ ধরণের ঘটনা ঘটায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ আতংকগ্রন্থ ও হতাশ হয়ে পড়ছেন। গতকাল (১৬/০৪/২০২১ খ্রিঃ ) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইদা শওকত জেনীর গাড়ী আটকে পরিচয়া জানতে চাওয়ার নামে একজন নারী চিকিৎসককে হেনস্তা করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, ক্রমাগত এ ধরনের ঘটনার কারনে বিষয়টি এসোসিয়েশনের সভাপতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানানোর পরও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। অনুগ্রহপূর্বক গতকালের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা এবং ভবিষতে এধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জনা সংশ্লিষ্ট আইনশৃংখলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানাচ্ছি।