সারা দেশে লকডাউন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

সারা দেশে চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। ছবি : বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (১৪ এপ্রিল): আজ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশে শুরু হয়েছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। সকাল থেকেই রাজধানীর কোন এলাকায় দোকানপাট খোলা হয়নি। সাধারণ মানুষকেও রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তারা কাজ সেরেই বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। ঢাকার রাস্তায় লকডাউন কার্যকর করতে বেশ তৎপর রয়েছে পুলিশ।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়ার জন্য ডিএমপি মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করেছে। এ ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ডক্টর বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মঙ্গলবার এ পাশ উদ্বোধন করে বলেছেন লকডাউনের সময় অপ্রয়োজনে তিনি কাউকে রাস্তায় দেখতে চান না।
টানা ৮ দিনের এ লকডাউনে দেশের সব ব্যাংক দৈনিক ৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে দুপুরে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক খোলা রাখতে মন্ত্রিপরিষদ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনরকে চিঠি দেওয়া হয়। এই চিঠি পাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
আটদিনের এ লকডাউনের খোলা থাকবে কল কারখানা ও গার্মেন্টস শিল্পও। এজন্য করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সাতটি শিল্প এলাকায় বিশেষ নজর দারি করবে সরকার। শ্রমঘন গুরুত্বপূর্ণ এ সাত শিল্প এলাকার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা ও চট্টগ্রাম। সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সারা দেশে লকডাউনের লক্ষ্যে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, গণপরিবহন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এর আগে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল।