১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে সারা দেশ

ঢাকা (০৯ এপ্রিল): করোনাভাইরাস রোধে সারা দেশে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া সব অফিস ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। রাস্তায়ও কোন যানবাহন চলবে না। শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই কঠোর লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এর কোনো বিকল্প নেই।

ফরহাদ হোসেন বলেন, চলমান লকডাউনে সেখানে সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। অফিস-আদালত, ব্যাংক, বিমা সবকিছুই খোলা। এমনকি কাঁচাবাজার, শপিং মল খোলা রাখা হয়েছে। বেসরকারি খাতের সবকিছুই খোলা। খোলা রয়েছে শিল্পকলকারখানা। তবে ওষুধের দোকান জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে। তাই সর্বাত্মক লকডাউনেও খোলা রাখা হবে। তবে নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। আর সরকারের অন্যান্য জরুরি সেবার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, স্বাস্থ্য, ত্রাণ বিতরণ, স্থলবন্দর, ইন্টারনেট, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনা-নেয়ার সঙ্গে জড়িত অফিসগুলো।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ থাকবে। রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোন গণপরিবহন চলবে না। আগামী রবিবারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু কমাতেই সরকার এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। বেড়েছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

এ সময় ওবায়দুলকাদের আরো বলেন, চলমান লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না।