বাস না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: গণপরিবহনের দাবিতে রায়েরবাগে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সড়ক অবরোধ করে অফিসগামী যাত্রীরা, বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (০৫ এপ্রিল): লকডাউনে অফিস আদালত খোলা থাকায় এবং গণপরিবহণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় অফিসগামী যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গণপরিবহন না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করে অফিসগামীরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একপাশে প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবরোধকারীরা জানান, সড়কে প্রায় সকল ধরনের যানবাহনই চলাচল করছে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাহন, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ট্রাক চলছে স্বাভাবিকভাবেই। সরকারের নির্দেশনার কারণে প্রায় সকল কারখানা খোলা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় তাদের কর্মস্থল খোলা থাকলেও তারা পরিবহন সংকটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
নারায়ণগজ্ঞের একটি কারখানায় লাইনম্যান হিসেবে কাজ করেন লাইলী আক্তার। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, কারখানা খোলা রয়েছে। আমাদের নিজেদের ব্যবস্থা নিয়ে কারখানায় পৌঁছাতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় এসে দেখি যাওয়ার জন্য বাস নেই। যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে তারা ঠিকই অফিসে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা যেতে পারছি না। এক জায়গায় দুই অবস্থা, এটা হতে পারে না। হয় সবার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে, না হয় সব কিছু বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও জানান, কাজে না গেলে চাকরি থাকবে না। হয় আমাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। না হয় আমরা কোনো কিছুই চলতে দেব না।
এদিকে সোমবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, কমলাপুর, বাসাবো, মালিবাগ, বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মস্থলগামী মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেও গণপরিবহন নেই। কিছু প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের নেওয়ার ব্যবস্থা করলেও অধিকাংশ মানুষকেই রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ সময় অনেককে রিকশা, সিএনজি, ছোট পিকাপে করে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। লকডাউন বলা হলেও শর্তসাপেক্ষে নিয়ন্ত্রিত চলাচলই সেই নির্দেশনায় উল্লেখ করা আছে।নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।