দ্বিগুণ ভাড়ায় চলছে গণপরিবহন, মানছে না নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: বাসে যাত্রী পরিবহনে কোন নির্দেশনাই মানা হচ্ছে না, বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (৩১ মার্চ): করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের জারি করা নির্দেশনা মানছে গণপরিবহনগুলো। বরং আগের মতোই প্রতিটি আসনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী।
এদিকে,স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বর্ধিত ভাড়া আদায় করা নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসের কন্টাক্টর ও হেলপারদের বাগবিতণ্ডা ও কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিন কয়েকটি রুটে বাসে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে সারাদেশে দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হবে। এ ছাড়া বাসের যাত্রী উঠানোর সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বুধবার সকালে কাওরান বাজার এলাকায় এই প্রতিবেদকে সঙ্গে কথা হয় বেসরকারি একটি ব্যাংকের চাকুরিজীবী হাসনাত করিমের সঙ্গে। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু পরিবহনে উত্তরার রাজলক্ষ্মী থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত ভাড়া ২৫ টাকা। আজ নিয়েছে দুই সিটের ভাড়া ৫০ টাকা। তিনি জানান, আমি যখন বাসে উঠি তখন আসন ফাঁকা থাকলেও বনানী আসার পর প্রতিটি আসনেই যাত্রী নেওয়া হয। বেশি ভাড়া নিয়েও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বাসের চালক ও হেলপারদের সঙ্গে যাত্রীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতির মত ঘটনাও ঘটে।
হাসনাত করিম জানান, সরকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে বর্ধিত ভাড়া নিতে। এই নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে কিনা সেটাওে দেখার দায়িত্ব সরকারেরই।
শুধু হাসনাত করিম নয়, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী একাধিক যাত্রীর সঙ্গে আলাপ করে একই চিত্র পাওয়া গেছে।
মিরপুর-গুলিস্তান রুটে চলাচল করে ওয়েলকাম পরিবহনে মাজার রোড থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত ভাড়া হলো ১৫ টাকা। কিন্তু ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া আদায়ের কথা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ মানে ৩০ টাকা।
রামপুরা-মতিঝিল, মতিঝিল-বনানী, গুলিস্তান গাবতলীসহ প্রায় প্রতিটি রুটেই দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি সকল আসনে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এমন কি কোনো কোনো গণপরিহন নিয়ম না মেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করছে।
টঙ্গি থেকে মহাখালী হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত চলাচলকারি পরিবহন তুরাগ পরিবহনের চালক আবু ইউসুফ ও হেলপার জসিম এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা বর্ধিত ভাড়া আদায় করছি। নিময় মানার চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। রাস্তায় যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা কম। কোনো স্পটে থামলে যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়ে। এতে করে অন্য যাত্রীদে সঙ্গে আমাদের ঝগড়া হয়।