মঙ্গলবার

৩০ ডিসেম্বর ২০২৫


১৬ পৌষ ১৪৩২,

১০ রজব ১৪৪৭

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৮ হাজার টাকা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:৪২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ২১:৪৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৮ হাজার টাকা বাড়ছে

ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

ঢাকা(১৫ ফেব্রুয়ারি):বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৮ হাজার টাকা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম মাসিক ভাতা বিদ্যমান ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হবে।

সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

কোনো মুক্তিযোদ্ধা কষ্টে থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,  তাদের সবার জন্য থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাটা আর কারো হাত থেকে নিতে হবে না। এটা তাদের হাতে  যেন সরাসরি পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাটাই আমরা নিচ্ছি। আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশে এই ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতি অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে এই ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারছি।

একজন মুক্তিযোদ্ধাও গৃহহীন থাকবেন না উল্লেখ করে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, একজন মুক্তিযোদ্ধাও গৃহহীন থাকবেন না, একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না। কাজেই আমরা সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি যে, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, যাঁরা ভূমিহীন-গৃহহীন, তাদেও যেমন ঘর দেব, তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদেরও যাঁদের জীর্ণ-শীর্ণ ঘর, তাঁদের ঘর তৈরি কওে দেওয়া হবে। তাঁরা সুন্দরভাবে বাঁচুন, সেটাই আমরা চাই। তাঁদের পরিবারও ভবিষ্যতে ভালো থাকবে, সেটাই আমরা চাই।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধার বিরোধিতাকারী এবং জাতির পিতার আত্নস্বীকৃত খুনি, তারাই মূলত ক্ষমতায় চলে আসে। সেসময় জনগণের ভোটের অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়। 

১৯৯৬ সালের আজকের এই দিন স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশে একটা ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে শুধু মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা নস্যাৎ করেছেন তা নয়, মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত হবে। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার যে স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা, আমরা সেই স্বপ্নই বাস্তবায়ন করতে চাই, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশ হবে বিশ্বে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, খুলনা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার উপজেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সচিবসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়