শুক্রবার

১৭ মে ২০২৪


৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চলতি সংসদ অধিবেশনে ইসি আইন পাসের চেষ্টা হবে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২০:০৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২২
চলতি সংসদ অধিবেশনে ইসি আইন পাসের চেষ্টা হবে: কাদের

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (১৭ জানুয়ারি): আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলতি সংসদ অধিবেশনে নিবার্চন কমিশন আইন পাস করার চেষ্টা করা হবে। 

ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির শেষে দলটির কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার বিকেলে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন কমিশনের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবসহ কয়েকটি দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কাছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবনা দেওয়ায় ইসি শক্তিশালীকরণ, ইসির আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগের বিষয়েও কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়োগের জন্য একটি আইন প্রয়োজন বলেও মনে করে আওয়ামী লীগ। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদান করার প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করবেন, সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দান করার প্রস্তাব ও দেন।

আইন করার জন্য দেওয়া প্রস্তাবের বিষয় তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান সাপেক্ষে একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। বর্তমানে এই ধরনের কোন আইন না থাকায় সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারগণের নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধান ব্যতিরেকে অন্য কোন আইন প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা নেই।

তবে সাংবিধানিক চেতনা সমুন্নত রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণের যোগ্যতা-অযোগ্যতা এবং তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ধারণের লক্ষ্যেই মূলত এই আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে যে কোনো আইন হবে সাংবিধানিক বিধান মতে একটি বিশেষ ধরনের আইন। এই বিশেষ ধরনের আইন প্রণয়নের জন্য আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো সুনির্দিষ্ট উদাহরণ ছিল না। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে একটি রাজনৈতিক মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করতে একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সাংবিধানিক রীতি ও রাজনৈতিক অনুশীলন প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি জানান,  এই সাংবিধানিক রীতিটি হলো ‘সার্চ কমিটি/অনুসন্ধান কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে সকলের মতামত ও অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন। এই ব্যবস্থাটি এখন পর্যন্ত দুই বার (২০১২ এবং ২০১৭) অনুশীলন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। দুই বারই দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ এই অনুশীলনে অংশগ্রহণ করেছে। এমতাবস্থায়, এই রীতিটির আলোকে এবং এই প্রক্রিয়ালব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের আলোকে একটি আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।”

চতুর্থ প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের জানান,  সুষ্ঠু  অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে সকল নির্বাচনে অধিকতর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”

আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করার  পরে সম্ভব হবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগের হাতে ভিন্ন কোন প্রক্রিয়া নেই। অথবা আইন পাশের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে কোন ম্যাজিকের তান নয়। আইন আইনের গতিতেই হবে। আইন, আইনের বিকল্প কোন বিধান নেই। যেই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের আইন পাশ হয়, এই ক্ষেত্রে বিন্দু পরিমানে ব্যত্তয় ঘটার কারণ নেই। বিকল্প কোন কথা নিয়ে ভাবার কোন অবকাশই নেই। কেউ কোন প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে পেরেছে, কেউ পারে নি। কেউ নির্দিষ্ট সময়ে পরে নি বা পেরেছে। অন্যকিছু হওয়ার এখানে কোন  সুযোগ নেই।

কাদের বলেন, কাম এন্ড সি, নাথিং ইজ ইম্পসিবল। যেহেতু এটা জন দাবি, সর্বাত্তক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। ৫০ বছর আগের আইনে যেহেতু চলছে, জাতীয় স্বার্থে একটা আইন পাশ হওয়ার দরকার ছিল, আগে হওয়ার কথা ছিল। কেন হবে না, প্রক্রিয়া তো আছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী সমুদয় চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই আইনের প্রকৃয়া চলতে থাকবে। ৫০ বছর করতে পারে নি,আমরা প্রথম দ্বিতয়িবার পারি নি, তৃতীয়বারের আগেও হয়ে যেতে পারে। প্রথম দ্বিতীয়বার হয় নি এবার হবে না এমন কোন কথা নয়। আইন টা হয়ে গেলে এবারই হবে।”

উল্লেখ্য, এর আগে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিধি দল নিয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছান । ৫টা ১০ মিনিটের দিকে বৈঠক শেষে বের তাঁরা বের হন ।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়