Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
মানবতার মুক্তির গল্প ‘রোহিঙ্গা’

মঙ্গলবার

১৫ জুলাই ২০২৫


৩১ আষাঢ় ১৪৩২,

১৮ মুহররম ১৪৪৭

মানবতার মুক্তির গল্প ‘রোহিঙ্গা’

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ২২ অক্টোবর ২০২২   আপডেট: ১৯:৫৭, ২২ অক্টোবর ২০২২
মানবতার মুক্তির গল্প ‘রোহিঙ্গা’

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২২ অক্টোবর): মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আর বাংলাদেশের নাম একীভূত হয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া জাগিয়েছে। বিশেষ করে, ২০১৭ সাল থেকে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সরকারের অমাবিক অত্যাচার ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করা, আর সেই সঙ্গে এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে মানবিক দৃষ্টিকোণে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘ থেকে শুরু করে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও নড়েচড়ে বসে।

ফলে, ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি একাধারে অত্যাচার, নিপীড়ন ও আর্তমানবতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই রোহিঙ্গাদের জীবন সংগ্রামের চিত্রই রূপালী পর্দায় তুলে ধরেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড।

গতকাল শুক্রবার দেশব্যাপী ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে 'রোহিঙ্গা' নামের চলচ্চিত্রটি। এরইমধ্যে দর্শকদের সাড়াও বেশ ভালোই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।

সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, ২০১২ সালে তিনি গল্পটা প্রথম ভেবেছিলেন, সেই অনুযায়ী চিত্রনাট্যও তৈরি করা হয়েছিল। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শুটিংয়ের পরিকল্পনাও করেছিলেন। কিন্তু এর পরপরই রাখাইনে ব্যাপক আকারে শুরু হয় রোহিঙ্গা নির্যাতন, পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়। ফলে রাখাইনে গিয়ে শুটিংয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নির্মাতা।

এক পর্যায়ে মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে চিত্রনাট্য পরিবর্তন করেন পরিচালক। গল্পে বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের জীবনচিত্র তুলে ধরেন। এরপর ২০১৭ সালে শুরু করেন শুটিং। নাফ নদী, শাহপরীর দ্বীপ, উখিয়া ও টেকনাফে দৃশ্য ধারণ করেন নির্মাতা।

শুটিং চলাকালীন নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে জানিয়ে অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুটিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।

তিনি বলেন, চিত্রনাট্য অনুযায়ী নাফ নদীতে ট্রলার ডুবানো, রোহিঙ্গাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে কিছু অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয়েছিল।

তবে, রোহিঙ্গাদের কষ্টের কাছে এই সব চ্যালেঞ্জই গৌণ হয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি। ডায়মন্ড বলেন, এই শরণার্থীরা নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত, তারা যাবেইবা কোথায়। বাংলাদেশের পক্ষেও তাদের সবার ভার বহন করা সহজসাধ্য নয়।

‘রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে পারলে মানবতা মুক্তি পাবে, আর বাংলাদেশ হবে ভারমুক্ত’ যোগ করেন তিনি। 

অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড জানালেন, রোহিঙ্গা সিনেমায় ‘আসিয়া’ নামের রোহিঙ্গা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী আরশি হোসেন। তিনি চরিত্রের সঙ্গে এতটাই মিশে গিয়েছিলেন যে, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুটিংয়ের সময় তাকে এক এনজিও কর্মী ত্রাণ দিয়েছিলেন।

আরশি ছাড়াও সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওমর আয়াজ, সাগর, বৃষ্টি, তানজিদ, শাকিবা, হায়াতুজ্জামান, গোলাম রাব্বানি প্রমুখ। 

রোহিঙ্গা সিনেমাটির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছেন অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়