সোমবার

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫


২৪ ভাদ্র ১৪৩২,

১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আজাদ রহমান স্মরণে শুরু বাংলা খেয়াল উৎসব

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদন || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ৩১ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৮:৫১, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
আজাদ রহমান স্মরণে শুরু বাংলা খেয়াল উৎসব

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (৩১ জানুয়ারি): বাংলা খেয়ালের উদ্যোক্তা ও সংগীত ব্যক্তিত্ব আজাদ রহমানকে স্মরণ করে অষ্টমবারের মতো শুরু হচ্ছে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলা খেয়াল উৎসব ২০২১’। তাঁর হাত ধরেই চ্যানেল আইয়ে প্রথমবার শুরু হয়েছিল বাংলা খেয়াল উৎসবের আসর। এবারের আসর শুরু হবে আজ রবিববার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। চলবে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা পর্যন্ত।

গত বছরের ১৬ মে প্রয়াত হন উৎসবের অন্যতম আয়োজক, বাংলা খেয়ালের উদ্যোক্তা, সংগীতজ্ঞ ও সংস্কৃতিকেন্দ্রের চেয়ারম্যান আজাদ রহমান। এবছর তাঁর স্মরণেই শুরু হতে যাচ্ছে এ উৎসব।

শনিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, সংগীত ব্যক্তিত্ব ও ওস্তাদ করিম শাহাবুদ্দিন, অসীত রায়, প্রয়াত আজাদ রহমানের সহধর্মিণী সেলিনা আজাদ, অধ্যাপক নাশিদ কামাল, অনীল কুমার সাহা প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে শাইখ সিরাজ বলেন, ‘এবারের আয়োজনটি অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় একটু ভিন্নতর। এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের জীবনযাত্রায় যেমন পরিবর্তন এসেছে, ঠিক তেমনি গত এক বছরে আমরা অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছি, যাঁদের অন্যতম এই বাংলা খেয়ালের উদ্যোক্তা প্রয়াত আজাদ রহমান।’

এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তুলনামূলক ছোট পরিসরে উৎসবটি চ্যানেল আইয়ের ৪ নম্বর স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

১৯৬৩ সালে কলকাতার মিস প্রিয়ংবদা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে এ গুণী শিল্পীর। সেই চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জি ও প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তাঁর সুরকৃত প্রথম চলচ্চিত্র আগন্তুক। তাঁর সুরকৃত ও তার নিজেরই কণ্ঠে গাওয়া এপার ওপার চলচ্চিত্রের "ভালবাসার মুল্য কত", ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রের "কারো মনে ভক্তি মায়ে", দস্যু বনহুর চলচ্চিত্রের "ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়" গানগুলো সত্তরের দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’এর মত উল্লেখযোগ্য দেশাত্মবোধক গানের সুর করেছিলেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বিভাগে তিনি জাতীয় চরচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়