Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অধিকার এবং শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতা নিয়ে ওয়েবিনার

বৃহস্পতিবার

১৫ মে ২০২৫


১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২,

১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অধিকার এবং শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতা নিয়ে ওয়েবিনার

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০১:২৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ০১:৩০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অধিকার এবং শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতা নিয়ে ওয়েবিনার

ছবি: সংগৃহীত

 

 

ঢাকা (১১ সেপ্টেম্বর): নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অধিকার এবং শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতা: প্রেক্ষিত কোভিড ১৯ শিরোনামে লাইভ ওয়েবিনারের পঞ্চম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজাম মুনিরা, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মারুফুল ইসলাম ও রুশাদ ফরিদী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এবং নাগরিক সংগঠনের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক ও অধিকার কর্মী অধ্যাপক সি আর আবরার, সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অনুষ্ঠানের ধারনাপত্র পাঠ করেন রেজাউর রহমান লেনিন।

শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করতে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে রাষ্ট্রবিরোধী আখ্যা পাই। এখানে ছাত্রকে শিক্ষিত করার চেয়ে কর্পোরেট মেশিন বানানোর চেষ্টা করা হয় বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও অনেক সময় বলেন এখানে বাক স্বাধীনতার কোন সুযোগ নেই। মারুফ বলেন, সামাজিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে এখানে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য।

সিরাজাম মুনিরা মনে করেন,একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিকের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, সেগুলো নিশ্চিত করা গেলেই আমাদের আলাদা করে আওয়াজ তুলতে হতো না। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির মতামতের সাথে সমাজের প্রচলিত মতামতের মিল না করলেই যে তার বিরুদ্ধে আইনগত এবং সামাজিক ব্যবস্থা নিতে হবে তা কখনই কাম্য হতে পারে না।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল ফজল বলেন, করোনা মহামারি এসেছে আমাদের মতো মানুষদের জন্য দুর্ভোগ, নিপীড়ন এবং নির্যাতন হিসাবে, কিন্তু সরকারের জন্য এসেছে আশীর্বাদ হিসাবে। সরকার বলেছে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বন্ধ কিন্তু উপাচার্য বলেছেন খোলা, নিয়মের অনিয়ম করে চাকরিতে নিয়োগ দেবার জন্য, তাঁর নিজের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের যেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ না করতে পারেন। ২০২০ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ফি কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কারের অভাবনীয় ঘটনা ঘটেছে,  কেবল শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিকে সমর্থন করার কারণে আমি, আবুল ফজল চাকুরি থেকে বরখাস্ত হয়েছি, এমনকি আমি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে থাকার পড় ৪ বার নোটিশ  দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের বাধ্য করেছে আক্রান্ত হবার পরে নোটিশের জবাব দেবার জন্য। এছাড়াও দু'জন শিক্ষককে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন আলাপের শুরুতেই বর্তমানে চলমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদস্বরূপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শোকজ করার প্রতীকী ঘটনাকে প্রশংসা করেন। যখন পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলো পাবলিকের আকাঙ্খা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় তাখন পাবলিকের দায়িত্ব এমন শোকজ করা। তিনি বলেন, এই রাষ্ট্রের নিপীড়নের গল্পগুলো আমাদের জানা। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের জেলে যেতে হয়। আগের থেকে এখন নিপীড়নের পদ্ধতিগত পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এখন এক একজনকে আলাদা আলাদা টার্গেট করা হয়, মামলা দেয়া হয়।

কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, টেলিভিশনে যে গল্প আমরা জানতে পারি এর পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের গল্পগুলোও তুলে আনা প্রয়োজন। তার মতে, রাষ্ট্র নাগরিকদের মাঝে আনুগত্য তৈরি করতে শিক্ষাকে একটি মাধ্যম হিসেবে দেখে আবার নাগরিকও ব্যবহারিক জীবন যাপনে ও বিভিন্ন শক্তির মোকাবেলা করার মাধ্যম হিসেবে শিক্ষাকে দেখেন। এখানে একটি টানাপড়েন শুরু থেকেই থাকে। তিনি বলেন, কোভিড পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে এ ক্ষেত্রে তেমন কোন ফারাক নেই।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এবং নাগরিক সংগঠনের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, তার মধ্যে গত ১৫ মাসে কমপক্ষে কমপক্ষে পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে এখনো তদন্ত চলছে। এই করোনা মহামারিতে শিক্ষা খাতকে উন্নত করবার ক্ষেত্রে কোন বাজেট ঘোষণা আসে নাই এবং এই যে এতদিন শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকলো এই বিষয়গুলোর ক্ষতিপূরণ কেমন করে নির্ধারিত হবে সেই সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত না।

 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়