Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
কোটি টাকার চলচ্চিত্র যন্ত্রসামগ্রীর কারণে স্পেনের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের শংকা

শনিবার

১২ জুলাই ২০২৫


২৮ আষাঢ় ১৪৩২,

১৬ মুহররম ১৪৪৭

কোটি টাকার চলচ্চিত্র যন্ত্রসামগ্রীর কারণে স্পেনের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের শংকা

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১৭ অক্টোবর ২০২১  
কোটি টাকার চলচ্চিত্র যন্ত্রসামগ্রীর কারণে স্পেনের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের শংকা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (১৬ অক্টোবর): ঢাকায় আটকে থাকা মাত্র এক কোটি টাকা মূল্যের চলচ্চিত্র নির্মান সামগ্রীর কারণে স্পেনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক টানাপড়েন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ওইসব যন্ত্রসামগ্রী স্পেনে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রেদোয়ান আহমেদ।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ আহবান জানিয়েছেন।
 
ওই চিঠিতে রেদোয়ান আহমেদ লিখেছেন, এ বছরের ২৫ জানুয়ারি ক্যামেলিয়ন সিনেমা সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি স্প্যানিশ চলচ্চিত্র নির্মাণ সরঞ্জাম সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্লোস ফার্নান্ডেজ তেজাদা তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দূতাবাসের ইমেইলে একটি আবেদন করেন। তার পাঠানো আবেদন অনুসারে, তিনি একটি আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থা দ্যা গোল্ডেন বেঙ্গল প্রোডাকশন এলএলসি এর বরাবরে তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ লক্ষ ইউরো সমমূল্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ সরঞ্জামাদি ঢাকায় ‘দি ব্যাটল অব বেঙ্গল’ শীর্ষক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণকল্পে ভাড়া হিসেবে প্রেরণ করেন। এই সরঞ্জামগুলি ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে পৌঁছায় এবং সেগুলো চলচ্চিত্রের সহযোগী প্রযোজক মি. জেফারসনের ঢাকা কাস্টমস থেকে গ্রহণ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে যায় এবং চলচ্চিত্রের সহযোগী প্রযোজক মি. জেফারসন ঢাকা ত্যাগ করেন বিধায় এ সরঞ্জামগুলি ঢাকা কাস্টমস হতে অবমুক্ত করা হয়নি।

এমতাবস্থায়, চলচ্চিত্র নির্মাণ সরঞ্জামগুলি পুনরায় স্পেনে ফেরত পাঠাবার জন্য কার্লোস আবেদন করেন। সে প্রেক্ষিতে তিনি বাংলাদেশ আমদানির অনুমতি গ্রহণ, স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগ, আইনজীবী নিয়োগ ইত্যাদি সম্পন্ন করেন বলে আবেদনে উল্লে করেছেন এবং সপক্ষে কাগজ দাখিল করেছেন। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টার পরও তার সরঞ্জামাদি স্পেনে ফেরত আনতে না পেরে তিনি ঢাকাস্থ স্পেন দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে তাকে জানানো হয় যে, ঢাকা কাস্টমসে তার সরঞ্জামাদি স্পেনে প্রেরণ করার ব্যাপারে একটি অলিখিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ বিষয়ক বাংলাদেশস্থ স্পেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল এটাশে নিকোলাস ভাসকুয়েজের স্বব্যাখ্যাত ইমেইল এর সাথে সংযুক্ত করা হলো।

কার্লোসের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সূত্রোক্ত ১ নং স্মারকে এ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হলেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি স্পেনের শিল্প, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এশিয়া, ইউরোপ, নন-ইইউ এবং ওশানিয়া অঞ্চলের সাব ডিরেক্টর জেনারেল ভেরোনিকা সাম্পার মেরিনো গত ২৩ জুলাই কার্লোস ও তার প্রতিষ্ঠান ক্যামেলিয়ন সিনেমা সার্ভিসেস লিমিটেডের পক্ষে দূতাবাসে ইমেইল করেন। তিনি সব আইনি কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও উক্ত সরজ্ঞামাদি ঢাকাস্থ বিমানবন্দরে পড়ে আছে উল্লেখ করে দ্রুত সমাধান এবং উক্ত সরঞ্জামাদি ঢাকা থেকে স্পেন পাঠাতে দুতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন। এ প্রেক্ষিতে স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপাক্ষিক পশ্চিম) বরাবর বিষয়টি ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করে সূত্রোক্ত ২নং স্মারকে একটি ডিও লেটার প্রেরণ করেন। ইতোমধ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে স্পেনের শিল্প, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এশিয়া, ইউরোপ, নন-ইইউ এবং ওশানিয়া অঞ্চলের অঞ্চলের এরিয়া প্রধান জাভিয়ার আলভারেজ ক্যাসানোভা ফের তাগিদ দিয়ে বিষয়টির অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন। উল্লেখ্য, দুতাবাসের কাছে এ বিষয়ক কোন অগ্রগতির তথ্য নেই।

মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আরো লিখেছেন, স্পেন বাংলাদেশের ৪র্থ রপ্তানি গন্তব্য। দীর্ঘদিন যাবত স্পেন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে স্পেনে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আরো বাড়বে বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশের কমার্শিয়াল উইং স্পেনে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি ও বাংলাদেশে স্পেনের বিনিয়োগ বৃদ্ধিকল্পে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে স্পেনের শিল্প, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। স্পেন বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এবং উপরে উল্লেখিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সম্ভাব্য ভুল বুঝাবুঝি এড়ানোর জন্য উল্লেখিত বিষয়ের আশু সমাধান প্রয়োজন। বিষয়টি সদয় অবগতি ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার কাছে পাঠানো হলো।

 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়