Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
নাইকোর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলায় অগ্রসর হবে না পেট্রোবাংলা

বৃহস্পতিবার

০৩ জুলাই ২০২৫


১৯ আষাঢ় ১৪৩২,

০৭ মুহররম ১৪৪৭

নাইকোর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলায় অগ্রসর হবে না পেট্রোবাংলা

হাসান আজাদ || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৭ অক্টোবর ২০২১  
নাইকোর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলায় অগ্রসর হবে না পেট্রোবাংলা

গ্রাফিক্স:বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (১৬ অক্টোবর): বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ)-এর বিরুদ্ধে দেশের আদালতে করা ক্ষতিপূরণ মামলা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর, আপাতত মামলাটির কার্যক্রমে অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেট্রোবাংলা।

মূলত আন্তর্জাতিক আদালত ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট ডিসপোটস (ইকসিড)- ক্ষতিপূরণের দায়ে করা মামলার আরবিট্রেশনে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থায় থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পেট্রোবাংলার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান প্রসঙ্গে বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, নাইকোর বিরুদ্ধে স্থানীয় আদালতে করা মামলা স্থগিতের জন্য বহুজাতিক এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকেই হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। পরে হাইকোর্ট মামলাটি স্থগিত করে। তাই মামলাটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আন্তজার্তিক আদালতে সংক্রান্ত চলমান মামলার রায়ের পর।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের পক্ষে নাইকোর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডেরেক স্মিতের প্রধান ডেরেক স্মিত বাংলাদেশের আদালতে চলমান মামলা স্থগিত করার সুপারিশ করে। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে নাইকোর বিরুদ্ধে করা ক্ষতিপূরণ মামলায় বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ মার্চ বিষয়ে মতামত চেয়ে জ্বালানি বিভাগে চিঠি দেয় পেট্রোবাংলা। পরে জ্বালানি বিভাগ মামলাটির বিষয়ে আইন বিচার বিভাগের মতামত চায়। গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে আইন বিচার বিভাগ মতামত প্রদান করে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর আইন বিচার বিভাগের মতামত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয় জ্বালানি বিভাগ।

জ্বালানি বিভাগ থেকে পেট্রোবাংলায় পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আরবিট্রেশনে বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুবিধাজনক অবস্থান বজায় রাখার স্বার্থে পেট্রোবাংলার প্রস্তাব ডেরেক স্মিতের সুপারিশ অনুযায়ী এবং চলমান ইকসিডে আরবিট্রেশনের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকার পেট্রোবাংলা কর্তৃক নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেড অন্যান্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা চলমান মানি মামলা নম্বর ২২৪/২০০৮-এর কার্যক্রম অগ্রসর না হওয়ার বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ মতামত প্রদান করেছে।

আইন বিচার বিভাগের মতামত বিষয়ে এতে উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ছাতক গ্যাস ফিল্ডে ২০০৫ সালে দু দফা ব্লো-আউটকালে (অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়) প্রাকৃতিক গ্যাস, জনগণের সম্পত্তি পরিবেশের ক্ষতির জন্য সর্বমোট ৭ শ’ ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৩ টাকার সমপরিমাণ ১০ কোটি ৬৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৮০ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার পেট্রোবাংলা ২০০৮ সালের ১৫ জুন নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেড অন্যান্যের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালত, ঢাকায় মানি মামলা নম্বর-২২৪/২০০৮ দায়ের করা হয়। যা বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ, দ্বিতীয় আদালতে বিচারাধীন আছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই মামলায় এরইমধ্যে বাদী পক্ষের ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ওই মামলায় বিবাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান ছিল। এই মামলার এক নম্বর বিবাদী নাইকো রিসোর্সেস ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ১২ বারের মতো মামলা মুলতবি করার আবেদন করে। পরে ওই আবেদনটি আদালত নামঞ্জুর করে শুনানির দিন ধার্য করেন। এই অবস্থায় নাইকো একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি যুক্তিতর্ক পর্যায় থেকে প্রত্যাহারের আবেদন করে। আদালত পুনরায় নামঞ্জুর করেন।

নিন্ম আদালতের আদেশসমূহ চ্যালেঞ্জ করে নাইকো সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে সিভিল রিভিশন নম্বর-২৮৭৮/২০১৯ দায়ের করে। হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর রুল জারি করে। এর ফলে মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মানি মামলা নম্বর-২২৪/২০০৮ বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী স্থগিত রয়েছে। ডেরেক স্মিত ইমেইলে মানি মামলারটির কার্যক্রম অগ্রসর না করার জন্য সুপারিশ করা হয়। যেহেতু মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী স্থগিত রয়েছে, সেহেতু বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম চলমান নেই।

এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ অতিক্রান্ত হলে কিংবা চলমান সিভিল রিভিশনটি নিষ্পত্তি হওয়ার পর বিচারিক আদালতে মানি মামলার নথি ফেরত পাঠানো হলে ইকসিডে চলমান আরবিট্রেশন কার্যক্রমের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত মানি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখা যেতে পারে। পরবতর্তীকালে আরবিট্রেশন কার্যক্রমের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মানি মামলাটি প্রত্যাহার কিংবা নিষ্পত্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়