রোববার

০৫ মে ২০২৪


২২ বৈশাখ ১৪৩১,

২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তদারকিতে ১৫ সদস্যের কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০২:৫৪, ১৪ অক্টোবর ২০২১  
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তদারকিতে ১৫ সদস্যের কমিটি

গ্রাফিক্স বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (১৩ অক্টোবর): ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে তদারকি ও পরীক্ষণের আওতায় আনা ও সাম্প্রতিক কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক ব্যবসার ফলে প্রতারিত ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া এর সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন একই মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব। 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশ সদরদপ্তর, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা, বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার, সিআইডি এবং কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি। 

মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিনিধিরা যুগ্মসচিব পদমর্যাদার হবেন এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা যুগ্মসচিব পদমর্যাদার হবেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়। কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। 

ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর ও সংস্থাসমূহকে একই ডিজিটাল প্লাটফরমে আনা; প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সের আওতায় আনা; ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় করণীয় নির্ধারণ; নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও পরীবিক্ষণের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ; প্রতিষ্ঠানমূহের সমূহের সমস্ত আর্থিক লেনদেন তদারকির আওতায় আনা এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতায় আনাই হবে কমিটির কাজ। 

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের তথ্য ও মালিকানাধীন সম্পদের বিবরণ, ব্যাংক হিসাবের স্থিতি ইত্যাদি হালনাগাদ তথ্য প্রাপ্তি এবং উক্ত অর্থ ও সম্পদ উদ্ধার করার পদ্ধতিও নির্ধারণ করবে নবগঠিত এই কমিটি। 

কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সদস্যকে কো-অপ্ট করতে পারবে। 

সম্প্রতি ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণায় নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার গ্রাহক। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধারদের গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখিও করা হয়েছে। সরকার এখন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। এরই অংশ হিসেবে এই কমিটি করা হলো। 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়