ফের বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (১৮ সেপ্টেম্বর): সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ফের বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। সেই সঙ্গে সবজির বাজারও চওড়া। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা। আর বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, জিগাতলা ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
শনিবার বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। তবে, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।
বয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে জিগাতলা কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হাশেম জানান, স্কুল-কলেজ খুলে যাওয়ায় খাবার হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে মুরগির চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ ছাড়া, লকডাউনের পর বিয়ে-শাদী পিকনিকের পরিমাণও বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারে মুরগি নেই।
তিনি আরও জানান, কয়েকদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। ফলে, যে মুরগি কয় দিন আগে আমরা ২২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন তা ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
কারওয়ানবাজারের ‘মায়ের দোয়া পোল্ট্রি ফার্ম’-এর সত্ত্বাধিকারী আল-আমিন জানান, খামারে মুরগির উৎপাদন কমেছে। অপরদিকে, বাজারে বেড়েছে মুরগির চাহিদা। এ কারণেই দাম বাড়েছে, সামনে আরও দাম বাড়তে পারে।
এদিকে, মুরগির সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা।
ডিমের দামের বাড়ার প্রসঙ্গে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী জফর আহমেদ জানান, বড় বড় কোম্পানিগুলো যেমন ‘প্রাণ’... এরা আড়ত থেকে বেশি দামে বিপুল পরিমাণ ডিম কিনে নিচ্ছে। এ জন্য আমাদেরকে বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। আর বাজারে ডিমের চাহিদা বেশি এবং কয়েকদিন ধরে বাজারে ডিম কম আসছে। তাই, দামও বেড়ে গেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সবধরনের সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। ভেণ্ডি ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা, করোলা ৬০ থেক ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জিগাতলা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা এমদাদুল হক জানান, বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। সবজি যেহেতু পচনশীল পণ্য তাই, কয়েকদিনের ব্যবধানেই দাম বেড়েছে। তবে, শীতের আগেই সবজির বাজারে কিছুটা স্থিতিশীল হবে।
অপরদিকে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও চিনি। খুচরা বাজারে পাইজাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা, আটাশ ৫৫ টাকা এবং মিনিকেট ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ছোট দানার মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আর ভারতের বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলও পূর্বের দামে বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ টাকা। কোম্পানিভেদে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায়। খোলা সয়াবিন বা পামওয়েল তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।
পূর্বে দরে আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, খোলা চিনি প্রতি কেজি ৭৮ টাকা, প্যাকেট জাত চিনি ৮০ এবং লাল চিনি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।