চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ৬ ব্যাংকের এমডির ক্ষমা প্রার্থনা

ঢাকা (১৩ সেপ্টেম্বর): মহামারি করোনাকালে দেশের প্রথম সারির ছয়টি ব্যাংকে ‘চাকুরিচ্যুতির’ ঘটনায় এসব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 

গতকাল সোমবার এই ছয়টি ব্যাংকের এমডি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই ছয় ব্যাংক থেকে গেল বছরের পহেলা জানুযারি থেকে চলতি বছরের ৯ আগস্ট পর্যন্ত এক বছর ৬ মাসে মোট তিন হাজার ৩১৩ জন কর্মকর্তা চাকুরিচ্যুত অথবা হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। 

ব্যাংকগুলো হচ্ছে ইর্স্টান ব্যাংক লিমিটেড, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড ও মিউচুয়াল ট্রাস্টব্যাংক লিমিটেড। 

ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাকুরিচ্যুত হয়েছে ব্রাক ব্যাংকে এবং সবচেয়ে কম হয়েছে মিচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ছয়টি ব্যাংকে গেল বছরের পহেলা জানূযারি থেকে চলতি বছরের ৯ আগস্ট পর্যন্ত এক বছর ৬ মাসে মোট তিন হাজার ৩১৩ জন কর্মকর্তা চাকুরিচ্যুত হয়েছে। এরমধ্যে ব্রাক ব্যাংক লিমিটেডের ১ হাজার ২৬০ জন, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ১ হাজার ১০২ জন, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ৪৪৮ জন, ইর্স্টান ব্যাংক লিমিটেডের ২০১ জন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের ১৫২ জন ও মিউচুয়াল ট্রাস্টব্যাংক লিমিটেডের ১৫০ জন।

যদিও ব্যাংকগুলো থেকে জানানো হয়, স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারী কর্মকর্তার সংখ্যার ৩ হাজার ৭০ জন। কিন্তু স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারী একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে তদন্ত দলের আলাপে তারা ‘পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন’ বলে তদন্ত দল প্রমাণ পেয়েছে। 

এ ছাড়া ছাঁটাই, অপসারণ ও বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের নথি পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়াও অনুসরণ করা হয়নি। এমন কি তাদের কারণ দর্শানো ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।