‘নগদ’ প্রধানমন্ত্রী স্বীকৃত একটি আর্থিক সেবা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন
ঢাকা (১২ সেপ্টেম্বর): ‘নগদ’-এর সঙ্গে ডাক বিভাগের অংশীদারত্বের বিষয়ে একটি কুচক্রী মহলের চলমান বিভ্রান্তিমূলক প্রচারকে উড়িয়ে দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেছেন, “‘নগদ’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বীকৃত একটি আর্থিক সেবা।”
মোবাইল ফোন-ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমগুলোতে রবিবার পাঠানো এক সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ রবিবার এক ভিডিও বার্তায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেছেন, এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (নগদ-এ) ডাক বিভাগ তথা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অংশীদারত্ব রয়েছে, এটা সর্বজন স্বীকৃত।’
তিনি আরও বলেন, “এটি সকলেই জানে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘নগদ’-এর এই সেবাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তিনি নিজে ১০ হাজার টাকা দিয়ে এটির লেনদেন শুরু করেন।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, “ডাক বিভাগ ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে। সময়ের পরিক্রমায় নানা রকম চড়াই-উৎড়াই পার করে ২০২১ সালে ‘নগদ’ ভালো একটি পর্যায়ে চলে এসেছে।”
‘নগদ’ জনগণের সেবায় ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে এবং এক সময় ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে সচিব এ সময় বলেন, দেশে যে সমস্ত ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস চালু রয়েছে, ‘নগদ’ এর মধ্যে একটি অন্যতম সার্ভিস। ‘নগদ’-এর গ্রাহক সংখ্যা ও মুনাফাও দিন দিন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, “‘নগদ’-এর সঙ্গে যেসব বাধা-বিঘ্ন বা অসুবিধা রয়েছে, সেগুলো অতিক্রম করে আগামী দিনে এটি একটি পরিপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ টেকনোলজিক্যাল সার্ভিস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বর্তমানে আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে আছি, খুব শিগগির ‘নগদ’ প্রথম স্থানে থেকে দেশ ও জনগণের সেবা দিতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
সচিবের আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দীনও পৃথক পৃথক বার্তায় ‘নগদ’-এর মালিকানা নিয়ে অপপ্রচারকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘নগদ’ ডাক বিভাগের সেবা, এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নগদ’-এর সেবার উদ্বোধন করেন। গত আড়াই বছরে ‘নগদ’ সাড়ে পাঁচ কোটি গ্রাহক পাওয়ার পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা পেরিয়ে গেছে। সরকারি ভাতা-উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা বিতরণে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার ব্যবহার করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাসহ অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবন করে দেশের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ‘নগদ’।