সাভারের ট্যানারি কেন বন্ধ হবে না, বিসিকের কাছে ব্যাখ্যা দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

সাভার ট্যানারী পল্লীর একাংশ, ফাইল ফটো
ঢাকা (১১ সেপ্টেম্বর): সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সাভারের চামড়া শিল্প নগরী ‘কেন বন্ধ করা হবে না’, তা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) কাছে জানতে চেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিসিকের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে ‘সুস্পষ্ট’ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
শনিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৩ অগাস্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না হওয়ায় সাভারের চামড়া শিল্প নগরী ‘আপাতত বন্ধ রাখার’ সুপারিশ করে।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ প্রহণ শুরু করেছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিসিক চেয়ারম্যানকে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এদিকে, পরিবেশ দূষণ রোধে সাভারের ট্যানারি বন্ধের সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি বলেছে, পরিবেশ দূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার পর আবার চালু করা যাবে সাভারের চামড়া শিল্প নগরী।
সংসদীয় কমিটিকে মন্ত্রণালয় জানায়, সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে দৈনিক ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদন হয়। অথচ যেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার ঘনমিটার।
অর্থাৎ দৈনিক ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিবেশে মিশছে। গত তিন বছরে এক কোটি ৬৪ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে গেছে।
চামড়া শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত পরিবেশে উন্নীত করতে ২০০৩ সালে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্প নগরী গড়ে তোলার কাজে হাত দেয় বিসিক। হাজারীবাগের ট্যানারি মালিকদের অনীহা সত্ত্বেও ২০১৭ সালের এপ্রিলে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে সেখানে যেতে বাধ্য হতে হয়।
শুরুতে কথা ছিল শিল্পনগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যানারিগুলো নিজেরাই ইটিপি স্থাপন করবে। কিন্তু ট্যানারিগুলো তা না করায় শিল্প মন্ত্রণালয় প্রকল্পের আওতায় সিইটিপি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১০ সালে প্রকল্প সংশোধন করা হয়। তখন প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৫৪৫ কোটি টাকা।