Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
গ্যাস সরবরাহ: ক্যাপটিভ পাওয়ারে কমবে, বাড়বে শিল্প-কারখানায়

বুধবার

১৪ মে ২০২৫


৩১ বৈশাখ ১৪৩২,

১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

গ্যাস সরবরাহ: ক্যাপটিভ পাওয়ারে কমবে, বাড়বে শিল্প-কারখানায়

হাসান আজাদ || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৭:৩৫, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
গ্যাস সরবরাহ: ক্যাপটিভ পাওয়ারে কমবে, বাড়বে শিল্প-কারখানায়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (০৯ সেপ্টেম্বর): শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ উপাদনে ব্যবহৃত ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে শিল্পের অন্যান্য খাতে সরবরাহ বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে শিল্প-কারখানায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন ও মান সম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ক্যাপটিভ পাওয়ারে এরইমধ্যে গ্যাস সরবরাহ কমানো শুরু হয়েছে। এর বিপরীতে শিল্প কারখানার অন্যান্য খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১০ বছরে ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাস সরবরাহ বর্তমানের চেয়ে দুই তৃতীয়াংশ কমানো হবে। অন্যদিকে, শিল্পের অন্যান্য খাতে বর্তমানের চাইতে দ্বিগুণের বেশি গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান এ প্রসঙ্গে বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, ক্যাপটিভ পাওয়ার ধীরে ধীরে কমানো হবে। এটা আগেই আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। এখন বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকেও বলা হচ্ছে। উনারা চাচ্ছেন, ক্যাপটিভ পাওয়ারে যে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে, তা যেন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহ করা হয়।

তিনি জানান, শিল্প কারখানায় মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা পেলেই ক্যাপটিভ পাওয়ার কমানো যাবে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, আমাদের এখন বড় চ্যালেজ্ঞ হল প্রাথমিক জ্বালানি নিশ্চিত করা। এটি করতে হলে ক্যাপটিভ পাওয়ার ব্যবহারকারীদের জাতীয় গ্রিডে আনতে হবে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। তাই জাতীয় গ্রিড থেকে শিল্প কারখানার প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। অন্যদিকে, ক্যাপটিভে ব্যবহ্নত গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার করা গেলে উৎপাদন বেড়ে যাবে। তবে, এই ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবশ্যই বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন। গ্যাসের কারণে আমাদের অনেকগুলো বড় প্লান্ট কম উৎপাদন করছে। গ্যাসের অভাবেই কম উৎপাদন হচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্যাপটিভ বন্ধ করার বিপরীতে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনে পিডিবির সঙ্গে চুক্তিও হতে পারে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সারা দেশে ৮০২টি ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এসব থেকে কম বেশি ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে ৬ শ’ মেগাওয়াট তেল-ভিত্তিক, আর ২৪ শ’ মেগাওয়াট গ্যাস-ভিত্তিক। গ্যাস-ভিত্তিক ক্যাপটিভ পাওয়ারে দৈনিক কম বেশি ৪৪০ এমএমসিএফডি গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এরইমধ্যে ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাস সরবরাহ কমানো শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, শিল্প কারখানায় সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে ক্যাপটিভে আরও কমানো হবে।

ওই কর্মকর্তা জানান, গেল ২০২০-২১ অর্থবছরে ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাসের চাহিদা ছিল ৮৯৯ মিলিয়ন ঘনফুট। শিল্পে চাহিদা ছিল ৮০৪ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে ক্যাপটিভে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছিল ৪৮০ এবং শিল্পে ১ হাজার ৪৪ ঘনফুট। ক্যাপটিভে চাহিদার বিপরীতে প্রায় অর্ধেক কম সরবরাহ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে করা ‘গ্যাস সেক্টর মাস্টার প্ল্যান বাংলাদেশ-২০১৭’ অনুযায়ী শিল্প-কারখানায় ব্যবহ্নত ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাসের সরবরাহ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ক্যাপটিভে চাহিদা বিপরীতে ৪৩২ এবং শিল্পে ১ হাজার ৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এ ছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ৩৮৯ এবং শিল্পে ১ হাজার ১৬৯ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ৩৫০ এবং শিল্পে ১ হাজার ২৯৯ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ৩১৫ এবং শিল্পে ১ হাজার ৪৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ২৮৩ এবং শিল্পে ১ হাজার ৫৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ২৫৫ এবং শিল্পে ১ হাজার ৭১৮ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ২৩০ এবং শিল্পে ১ হাজার ৮৬৩ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০২৮-২৯ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ২০৭ এবং শিল্পে ২ হাজার ৯ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০২৯-২০৩০ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ১৮৬ এবং শিল্পে ২ হাজার ১৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট, ২০৩০-৩১ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ১৬৭ এবং শিল্পে ২ হাজার ৩০২ মিলিয়ন ঘনফুট এবং ২০৩১-৩২ অর্থবছরে ক্যাপটিভে ১৫১ এবং শিল্পে ২ হাজার ৪৪৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়