ছাড় তুলে নিলেন ব্যবসায়ীরা, আগের দামে বিক্রি হবে ভোজ্যতেল
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (০৫ সেপ্টেম্বর): ভোজ্যতেলে মূল্য ছাড় তুলে নিয়েছে বিপননকারী কোম্পানিগুলো। এর ফলে গত ৫ মে’র আগের দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হবে। একারণে এখন থেকে ভোক্তাদের সয়াবিন তেল লিটার প্রতি চার টাকা বেশি দিয়ে ১২৯ টাকায় কিনতে হবে। আর পাম সুপার তেলের প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১১৬ টাকা।
বিষয়টি বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে নিশ্চিত করেছেন সিটি গ্রুপের পরিচালক ( করপোরেট এন্ড রেগুলেটর অ্যাফের্য়াস) বিশ্বজিৎ সাহা।
বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আমাদের প্রস্তাব ছিল লিটার প্রতি ৮ টাকা বাড়ানোর। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী দেশে না থাকায় এই বিষয়ে আজ (রবিবার) কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা যে গত মে মাসে লিটার প্রতি যে মূল্য ছাড় দিয়েছিলাম, তা এখন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৩০ জুন সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা কমানোর কথা জানিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে সয়াবিন, পাম ও অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ মে সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তাতে বোতলজাত এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৪৪ টাকা থেকে বেড়ে লিটারপ্রতি ১৫৩ টাকা হয়।
দেশে গত এক দশকের মধ্যে ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২০১২ সালের মাঝামাঝি। ওই বছর বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, দেশের সয়াবিনের উৎস ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে সয়াবিনের দাম বাড়ছেই। তাঁরা গত মাসেই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল।