Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
বর্ষায় সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

বৃহস্পতিবার

১৫ মে ২০২৫


১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২,

১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

বর্ষায় সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  
বর্ষায় সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (০৪ সেপ্টেম্বর): চলতি সপ্তাহের শুরুতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় শাক-সবজির দাম বেড়েছে। বর্ষার পানিতে ডুবে যাওয়ায় প্রায় সব ধরনের তরি-তরকারি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এদিকে, ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা। অবশ্য, আমদানি করা চীনা আদা, রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার ইন্দিরা রোড কাঁচাবাজার এবং সাভারের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষার পানি এবং বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন শাক-সবজি বাগান নষ্ট এবং পানিতে ডুবে যাবার কারণে সরবরাহ কমেছে। ফলে, এ সপ্তাহের শুরুতেই এসবের দাম বাড়তে থাকে। বিক্রেতাদের দাবি সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।

কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ শিপন বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, ‘সবধরনের সবজিতে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। গতকাল (শুক্রবার) থেকে আজকে আমরা সবধরনের সবজিতে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি।’ 

দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্ষার কারণে উত্তর বঙ্গ থেকে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। 

ইন্দিরা রোডের সবজি বিক্রেতা আল আমিন বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, ঢাকায় সবজির সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বেড়েছে। বর্ষার পানি আরও বৃদ্ধি পেলে শাক-সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে টমেটো ৬০ টাকা থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, গাজর মানভেদে ৬৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০, বরবটি ৭০ টাকা থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে ৫০ টাকা, শসা ৩৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে ৪৫ টাকা, ভেণ্ডি ও পটল ৪০ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। 

অবশ্য, গত সপ্তাহের দামে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা পেঁপে এবং মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। 

এ ছাড়া, গত সপ্তাহের দামে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, আলু ২০ টাকা। তবে, চীনা আদা এবং রসুন ৫ টাকা দাম কমেছে। এদিকে, প্রতি কেজি আদা ১০৫ থেকে দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা এবং রসুন ১১০ থেকে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা। 

আদা ও রসুন বিক্রেতা লুৎফর রহমান বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন ‘বাজারে আদা-রসুনের সরবরাহ ভালো। মালের ঘাটতি নাই। তাই, দাম বাড়েনি। আর আদা ও রসুনের সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে দাম কিছুটা কমেছে।’     

কারওয়ানবাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা শহীদ বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে জানান, চলতি সপ্তাহে চাঁদপুর ও বরিশালের ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পদ্মার ইলিশ খেতে মজা। চাহিদা বেশি এবং সরবরাহ কম। তাই, দাম বেড়েছে।’   

বাজারঘুরে দেখা যায়, দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি করছেন ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এবং ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি করছেন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।
 
এদিকে, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা পর্যন্ত।

ইন্দিরা রোড কাঁচাবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রেজা আলম বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, লকডাউনে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। এখন নানা ধরনের সামাজিক, পারিবারিক অনুষ্ঠানে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকায় মুরগির চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে। একই সঙ্গে ডিমের দাম বেড়েছে।

তিনি জানান, প্রতি ডজনে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর প্রতি হালিতে ৩ টাকা। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির সাদা ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, লাল ডিম ডজন প্রতি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়। 

অপরদিকে, ‘মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরে’র ম্যানেজার মোহাম্মদ বাবলু মিয়া বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, গত সপ্তাহের বর্ধিত দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল, তেল ও চিনি। 

তিনি আরও জানান, দেশি ছোট দানার মশুর ডাল খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। এবং ভারতের বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৪৫ থেকে ১৪৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা এবং পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১২২ থেকে ১২৫ টাকা। 

কারওয়ানবাজারের চাল বিক্রেতা মোহাম্মদ শহীদ বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, বাজারে চালের সরবরাহ ভালো। চলতি সপ্তাহে কোনো চালের দাম বাড়েনি। গত সপ্তাহের দামেই মিনিকেট চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ টাকা ৭২ টাকা ও আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়