সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্টগুলোর তথ্য দিল ‘নগদ’
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্টগুলোর তথ্য দিয়েছে ‘নগদ’
ঢাকা (০৪ সেপ্টেম্বর): সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে সন্দেহজনক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার লক্ষ্মণ পরিলক্ষিত হওয়ায় কিছু অ্যাকাউন্টের তথ্য একাধিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।
আজ শনিবার মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে গণমাধ্যমগুলোতে পাঠানো এক সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্দেহজনক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ওই অ্যাকাউন্টগুলো সাময়িকভাবে লেনদেন স্থগিত করাও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কয়েক দিনে কিছু সংখ্যক ‘নগদ’ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করে বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোয় অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর পর্যালোচনা ও লেনদেনের ধরন পরীক্ষা করে কিছু অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অ্যাকাউন্টগুলোর তালিকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর কাছে হস্তান্তর করেছে প্রযুক্তিগতভাবে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাওসার সওকত আলী (অব.) বলেন, সরকারি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’ প্রযুক্তিগতভাবে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্মে কোনো ধরনের দুরভিসন্ধীমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরূহ। তা ছাড়া লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার ফলে অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ যে অধিকতর সহজ হয়, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ উদ্বোধনের পর থেকে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সাধারণ মানুষের আর্থিক লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করছে। গত আড়াই বছরে এমএফএস অপারেটরটি ৫ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে। একই সঙ্গে দৈনিক লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।