Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
ওটিসি মার্কেট বিলুপ্তির পথে

বুধবার

০২ জুলাই ২০২৫


১৮ আষাঢ় ১৪৩২,

০৬ মুহররম ১৪৪৭

ওটিসি মার্কেট বিলুপ্তির পথে

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০২:২৩, ১১ জুন ২০২১  
ওটিসি মার্কেট বিলুপ্তির পথে

ছবি: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের লোগো

ঢাকা (১০ জুন): এক দশক আগে গঠিত গঠিত ওভার-দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিভিন্ন দুর্বল কোম্পানিগুলোকে ব্যবসার সুবিধার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে বলেন, ‘আমরা ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা করছি।’ তিনি বলেন, ‘এ প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করা কেম্পানিগুলিতে কর্পোরেট প্রশাসনের ব্যবস্থা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।’

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওটিসি মার্কেটে ৬৭ টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চাশটিরও বেশি কোম্পানিকে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড, এসএমই বোর্ড, এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডসহ (এটিবি) বিভিন্ন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করা হবে।

এর মধ্যে তালিকাচ্যুতির জন্য ১৩ টি কোম্পানি আবেদন করেছে।

এছাড়া চারটি কোম্পানি ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফেরার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। সেগুলো হল- তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ মনস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কো. লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড এবং মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতিমধ্যে তালিকাভুক্ত করার অনুমতি দেওয়ার কারণে তাদের তালিকাভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৫টি কোম্পানিকে এসএমই বোর্ডে, ৩০টি এটিবি বোর্ডে স্থানান্তরিত হবে এবং বাকি কোম্পানিগুলির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।

তবে, তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে, অথচ বিনিয়োগকারীদের কোন ধরনের লভ্যাংশ না দিয়ে পালিয়েছে, এমন কোম্পানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।

যে সব কোম্পানি উৎপাদনে ছিল না, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করেনি, কাগজের শেয়ার ছিল এবং বিএসইসিতে নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা ও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছিল, এমন সব কোম্পানি নিয়ে ২০০৯ সালে ওটিসি মার্কেট গঠন করা হয়েছিল।

পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে সর্বশেষ কোম্পানি হিসেবে ওটিসি প্ল্যাটফর্মে পাঠানো হয়েছিল।

অন্যদিকে, কিছু কোম্পানির পারফরম্যান্সে অগ্রগতি এবং সিকিউরিটিজ নিয়ম মেনে চলায় তাদেরকে ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বোর্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এগুলি হল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়াটা কেমিক্যাল, সোনালী পেপার ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘ওটিসির মার্কেটের সব কোম্পানিই নজরদারিতে রয়েছে। তাদের সব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ওটিসি মার্কেটে লেনদেন করা কোম্পানিগুলোতে অব্যবস্থাপনা এবং অনিয়মের মতো অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে।’

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়