রমজানে কাঁচাবাজারে উত্তাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

রমজানে শাক-সবজি-তরকারির উত্তাপ বেড়েছে
ঢাকা (১৭ এপ্রিল ) রমজানে যে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা, বেশি সেগুলোর দাম ঊর্ধমুখী। শাক-শবজি, তরি-তরকারি, ফল-মূল সব কিছুতেই বেড়েছে দামের উত্তাপ। তবে কিছু ক্ষেত্রে ফার্মের মুরগির দাম কমেছে। শনিবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
এদিকে বিক্রেতাদের মূল্য তালিকা না থাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত বাজার মনিটরিং টিম কয়েকটি দোকানে এইদিন জরিমানা করতেও দেখা গেছে।
দাম ঊর্ধমুখী দ্রব্যের মধ্যে বেগুন, শশা, বেসন ও লেবুর দাম ৮০ থেকে ১০০ এরমধ্যে উঠানামা করছে দেখা গেছে। রমজান মাস হওয়ায় পেঁয়াজ, আলু, বেগুন, শসা এসব পণ্যে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বাজারে গত তিনদিন ধরে বেগুন রাজত্ব করছে। বেগুনের সাথে তাল মিলিয়েছে শসা। ।
রাজধানীর শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজার মাসের প্রয়োজনীয় এমন সব পণ্যের দামই বেশি। বেগুন গত তিনদিন ধরে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় উঠানামা করছে। শশা গতকালকে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আলু ৩ দিন আগে ২০ টাকা করে কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টমেটোও প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল।
তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগী গত সপ্তাহে ৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায় এবং ব্রয়লার গত সপ্তাহ থেকে ১০ টাকা কমে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ২০ টাকা বেড়ে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
অপরদিকে রোজাকে কেন্দ্র করে সবধরনের ফলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫০ টাকা জোড়া আনারস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, ১৫০ ও ২০০ টাকার আপেল প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২২০ টাকা, ৩০ টাকা কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু কিছু দোকানে ৮০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত বাজার মনিটরিং টিম ও ভোক্তা অধিকার বাজার পরিদর্শন করলে বিক্রেতারা নড়েচড়ে বসেন। মনিটরিং টিমের মুখোমুখি নানা অজুহাত দেখায় কিন্তু তাদের পণ্য তালিকা না থাকায় এবং তালিকা আপডেট না করায় বেশ কয়েকটি দোকানে জরিমানা করে।
শনিবার পরিদর্শনে বের হওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন অধিকাংশ দোকানের কেশ মেমো না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পণ্য তালিকা, কোথায় থেকে পণ্য কিনেছে সেই ক্যাশ মেমো অবশ্যই থাকতে হবে। এবং তাদের মনিটরিং কার্যক্রম চলবে।