মহামারিতে সবজি রপ্তানি কমেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

শাকসবজি রফতানি চিত্র
ঢাকা (১৬ এপ্রিল): বাংলাদেশের আর অন্য যেকোনো খাতের চেয়ে সবজি রপ্তানিকারকরা কোভিড-১৯ মহামারির থাবার ভয়াবহতা বেশি অনুভব করছেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে সবজি রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও চেয়েও কম আয় করেছে। এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় এ আয় প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
বর্তমান অর্থবছরের শুরুতে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ রপ্তানি আয়ের পরিমাণ অনেক কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে সবজি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে নয় মাসের আয়ের প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে এ খাতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করাই খুব কঠিন হবে।
রপ্তানিকারকরা এর জন্য চলমান করোনভাইরাস মহামারিকে দায়ী করছেন। এ মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত রয়েছে।
বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে বলেন, ‘আমরা কার্গো ফ্লাইটে সবজি রপ্তানি করতাম। এ ফ্লাইট গত বছরের শুরুতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বেশিরভাগ সময় স্থগিত ছিল।’
এ অর্থবছর এখন পর্যন্ত তার রপ্তানি প্রায় ৭০ শতাংশে নেমে গেছে এবং এখন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আঘাত হানার ফলে এর অবস্থা আরও খারাপ বলে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, দেশে প্রায় ২০০ শাকসবজি রপ্তানিকারক রয়েছেন। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ হলেন ক্ষুদ্র রপ্তানিকারক। তারা সবাই চলমান মহামারির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মনসুর বলেন, ‘আমরা সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে কোনো ঋণ পাইনি। ব্যাংকও বলে ঋণ আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।’
বাংলাদেশের সবজির প্রধান বাজার হল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং ইউরোপ। এসব দেশে প্রধান রপ্তানিযোগ্য শাকসবজির মধ্যে রয়েছে বেগুন, লাউ, শসা, শিম ইত্যাদি।
বছরের শেষ প্রান্তিকে কোভিড-১৯ মহামারী থাকা সত্ত্বেও ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ শাকসবজি রপ্তানি করে ১৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল।