ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১২ এপ্রিল): ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) এর দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, সৌদি আরামকোর দরকে ভিত্তি মূল্য ধরে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান।
ওই কর্মকর্তা জানান, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এরফলে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম বাড়লে দেশের বাজারে বাড়বে। আর কমলে দেশেও এলপিজির মূল্য কমবে। এরফলে স্থানীয় বাজারে এলপিজির মূল্য নিয়ে যে অস্থিরতা তা কমে যাবে।
বিইআরসি’র সদস্য (গ্যাস) মো. মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে বলেন, আমরা সকল পক্ষকে নিয়ে গণশুনানি করেছি। এলপিজির মূল্য নির্ধারণে আমরা একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কথা ভাবছি। যা সময় সময় আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্য নির্ধারিত হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সৌদি আরবের আরামকো হচ্ছে জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের একটি ভিত্তি বা মানদ-। আরামকোর জ্বালানি মূল্যকে এশিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশ অনুসরণ করে থাকে। আরামকো নির্ধারিত প্রতি মাসের দরকে নিজ নিজ দেশের এলপিজির দর নির্ধারণের সূচক বিবেচনা করা হয়। আমদানি পর্যায়ের মূল্যকে ভিত্তি মূল্য ধরে পরিবহন ও অন্যান্য কমিশন যুক্ত করে স্থানীয় বাজার মূল্য চূড়ান্ত করা হয়। বাংলাদেশেও এমন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
২০০৯ সালের পর আবাসিকে নতুন করে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। সেই থেকে নতুন করে আর গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে সংযোগ চালু করার কথা বলা হলেও তা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে থেমে যায়। আবাসিকে সংযোগ বন্ধ হওয়ার পর থেকে এলপিজির চাহিদা দিন দিন জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে।
জ্বালানি বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, দেশে এখন এলপিজির চাহিদা রয়েছে প্রায় ১২ লাখ টন। জাইকার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে চাহিদা হবে ৩০ লাখ টন ও ২০৪১ সালে ৬০ লাখ টন।