অজুহাত লকডাউনের: দাম বেড়েছে প্রায় সকল পণ্যের
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ইনফোগ্রাফ: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা(১০ এপ্রিল): আসন্ন লকডাউনের অজুহাতে বাজারে সকল ধরণের সবজির দাম বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে কোন সবজির দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকার নিচে নেই। টমোটো, শিম, পটল, বরবটি, ঢেঁড়স, বেগুন, লাউ, চাল কুমড়োসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন লকডাউনের কারণে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বেড়ে গেছে। পাশাপাশি চাহিদাও বেড়ে গেছে। এছাড়া পন্য পরিবহনে ট্রাকের সংখ্যা কমে যাওয়াকেও দাম বৃদ্ধিও অন্যতম কারণ উল্লেখ করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কাওরানবাজার, ফকিরাপুল বাজার, পলাশী বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে থাকা সকল ধরণের গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম বেড়েছে। কোন কোন সবজির দাম আগের চাইতে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। মোটামুটি ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি বিক্রি হচ্ছে না। সবজির মধ্যে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বেড়েছে টমেটোর দাম। যে টমেটো কেটি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হতো, তা শনিবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিলো কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বরবটিতে কেজি প্রতি ১০টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে যে সজনে ডাঁটা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
এছাড়া গত সপ্তাহে যে বেগুন বিক্রি হয়েছিলো ৪০ টাকা কেজি, সেই বেগুন শনিবার বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতো, তা সপ্তাহের শুরুতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শিম ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪০ টাকা।
সবজির পাশাপাশি শাকের দামও বেড়েছে। কলমি শাক আঁটি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ১৫ টাকায় দুই আঁটি বিক্রি হতো। পালং শাকের আঁটি প্রতি ১০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, পুঁইশাকের আঁটি ২৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লাউশাকের আঁটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
রাজধানীর পলাশী বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মানিক উদ্দিন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান, বাজারে চাহিদা বেশি, কিন্তু সরবরাহ কম। পাইকারি বাজারেই পণ্যেও দাম বেড়ে গেছে। ফলে খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। তিনি জানান, কোন সবজিই এখন ৫০/৬০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। এই বিক্রেতা আরও জানান, এখন কাওরান বাজার বা শ্যামবাজার থেকে পণ্য আনার খরচও বেশি পড়ছে। যেকারণে আমরা পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।
কাওরান বাজারের মাহিমা আড়তের কর্ণধার মোসলেম খান বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে, জানান, পাইকারি বাজারেই এখন সবজির দাম বেশি। লকডাউনের কারণে গাড়ি ভাড়া বেশি পড়ছে। যে কারণে পণ্যের দামও বেড়েছে।
এদিকে, পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। কেচি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। ৩০/৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। তবে আলুর দাম আগের মতোই ২০ টাকা কেজি আছে।
সকল ধরনের মুগির দামও বেড়েছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর পাকিস্তানি বা সোনালি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিলো ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।