মঙ্গলবার

১১ নভেম্বর ২০২৫


২৭ কার্তিক ১৪৩২,

২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

এপিএ’র মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি :  জনপ্রশাসনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ৯ জুন ২০২৪  
এপিএ’র মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি :  জনপ্রশাসনমন্ত্রী

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ রোববার (৯ জুন) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ বাস্তবায়নে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী তিনি বলেন, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কি কি কাজ আমরা করব সেই তালিকা করা, কীভাবে করবো সেই কর্মপন্থাও নির্ধারণ করা হয়।

তিনি বলেন, এর (এপিএ) মাধ্যমে আমরা সময় যেমন কমাতে পেরেছি কর্মসম্পাদন করার ক্ষেত্রে, একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি। আমরা ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি। সময়ও সাশ্রয় করতে পেরেছি।

এর মধ্য দিয়ে আমরা অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে কাজ করতে পারছি। এজন্য গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে এত ব্যাপক অর্জন দেশের জন্য। এজন্য এটি সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব দপ্তর-সংস্থা তাদের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনের জন্য যে কর্মকাণ্ডগুলো আছে, সেগুলোর খসড়া তারা দাখিল করে। গত ৯ মে মন্ত্রণালয়ের এপিএ টিমের সভায় তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ৩০ মে দপ্তর-সংস্থা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এপিএ-এমএস’র মাধ্যমে তাদের চুক্তি-এপিএ দাখিল করেছে। আজকে সেই চুক্তি সম্পাদন হতে যাচ্ছে।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো বিবেচনার মধ্যে রেখেই বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কাজগুলো সম্পাদন করে থাকি। এভাবেই যথাযথভাবে আমাদের অর্জনগুলো করতে পারছি।

তিনি বলেন, আজকে যে চুক্তি সম্পাদন হতে যাচ্ছে আশা করি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকবো।

পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন আটটি দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে এপিএ চুক্তি সই হয়। দপ্তর-সংস্থাগুলোর পক্ষে দপ্তর-সংস্থাগুলোর প্রধানরা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এপিএ চুক্তিতে সই করেন।

আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেই কাজের একটি অঙ্গীকারনামা হচ্ছে এপিএ বা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীন দফতর/সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ করে থাকে।

বছর শেষে মূল্যায়ন হয় এই চুক্তির। চুক্তি অনুযায়ী বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে। এপিএ বাস্তবায়নে সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়