Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
ট্রান্সকম গ্রুপের সিমিনসহ তিনজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বৃহস্পতিবার

২১ আগস্ট ২০২৫


৬ ভাদ্র ১৪৩২,

২৬ সফর ১৪৪৭

ট্রান্সকম গ্রুপের সিমিনসহ তিনজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ৩১ মার্চ ২০২৪  
ট্রান্সকম গ্রুপের সিমিনসহ তিনজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ তিনজনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার (৩১ মার্চ) এ নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ২১ মার্চ রাতে গুলশান থানায় ট্রান্সকমের প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক এ হত্যা মামলা করেন। তার অভিযোগ, ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান অসুস্থ ছিলেন না। তার বড় বোন ও অন্য আসামিরা চক্রান্ত করে তাকে হত্যা করেছেন।

 মামলার এজাহারে শাযরেহ হক বলেন, মুসলিম শরিয়া আইন অনুযায়ী তিনিসহ তার মৃত বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান (৫৭) এবং মামলার এক নম্বর আসামি সিমিন রহমান তার বাবার সব স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারিশ।
 
লতিফুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তিসহ তার প্রতিষ্ঠা করা ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার এবং পজিশন নিজেদের অনুকূলে হস্তগত করাসহ তাকে (শাযরেহ) এবং তার বড় ভাইকে (আরশাদ) সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন সিমিন রহমান ও তার ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন।

তাদের জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত বছরের ৮ জুন আরশাদ ওয়ালিউর রহমান পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করেন। এতে সিমিন রহমান আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তখন তিনি জীবনের নিরাপত্তার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এর ৮ দিন পর গত ১৬ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরশাদ।
 
আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান-২ এর নিজের বাসার শয়ন কক্ষে মৃত ও চিৎ অবস্থায় দেখা যায় তাকে। যদিও তার শরীরে কোনো জটিলতা বা রোগ ছিল না।
 
মামলার এজাহারে শাযরেহ হক আরও বলেন, ঘটনাস্থলে সব আসামিকে দেখতে পাই। কিন্ত ভাইয়ের মারা যাওয়ার কথা বা অসুস্থতার কথা তারা কেউই জানাননি। পরে দ্রুত আমার ভাইকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে মৃত্যুর সনদপত্র নেয়ার জন্য তাড়াহুড়া করেন অভিযুক্তরা। পরে সেদিন বিকেলেই দাফনের কাজ শেষ হয়।
 
শাযরেহ হক মামলায় উল্লেখ করেছেন, হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সিমিন রহমানের উদ্দ্যেশে বলেছেন, উনি অনেক আগেই মারা গেছেন। কেন তাকে এত পরে হাসপাতালে আনা হলো? তখন পারিবারিক চিকিৎসক ডা. মুরাদ হাসপাতাল প্রশাসনকে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ রিপোর্ট করার প্রয়োজন নেই।
 
শাযরেহ হক আরও উল্লেখ করেন, তিনি মনে করেন ১১ জন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে তার বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে, যা আসামিদের আচরণে প্রকাশ পেয়েছে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়