শনিবার

২৭ এপ্রিল ২০২৪


১৪ বৈশাখ ১৪৩১,

১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি নিয়োগে নতুন নির্দেশনা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ২৫ মার্চ ২০২৪  
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি নিয়োগে নতুন নির্দেশনা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা শর্ত জুড়ে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রধান নির্বাহী বা এমডি নিয়োগ পেতে হলে ব্যক্তির শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে পারবে না। এর পাশাপাশি আরও নতুন অনেক শর্ত দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে।

এর আগে ব্যাংকগুলোর এমডির যোগ্যতার বিভিন্ন মানদণ্ড এবং সুবিধা-শর্তাবলী ঠিক করে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নীতিমালায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সর্বোচ্চ পদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা ও ন্যূনতম বয়স ৪৫ বছর নির্ধারণসহ একগুচ্ছ শর্ত দেওয়া হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি নিয়োগের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানিসমূহে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একজন উপযুক্ত, পেশাগতভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ হওয়া আবশ্যক। এতদ্প্রেক্ষিতে, ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ১৫(৮), ১৮ ও ১৯ ধারা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ধারার বিধানাবলী অনুসরণে ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এর নিয়োগ এবং তাঁর দায়-দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা বিষয়ে এ নীতিমালা জারি করা হলো।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, এমডি নিয়োগ পেতে হলে ব্যক্তি কোনো ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দণ্ডিত নন কিংবা জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না বা জড়িত নন; তাঁর সম্পর্কে কোনো দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলায় আদালতের রায়ে কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য নেই; তিনি এমন কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সাথে যুক্ত ছিলেন না যার নিবন্ধন অথবা লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে অথবা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানটি অবসায়িত হয়েছে।

তিনি কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানি বা ব্যাংক কোম্পানি হতে গৃহীত ঋণের জন্য খেলাপী নন; পাওনাদারের প্রাপ্য পরিশোধ বন্ধ করেননি কিংবা পাওনাদারের সাথে আপস রফার মাধ্যমে পাওনা আদায় হতে অব্যাহতি লাভ করেননি; তিনি কর খেলাপী নন এমন ব্যক্তি নিয়োগ পেতে পারেন।

তবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী হতে হবে। অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং, ব্যবস্থাপনা কিংবা ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক বা পেশাগত শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। তাঁর শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে পারবে না। গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশিত ফলাফলের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিপিএ ৩.০০ এর কম এবং

অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সিজিপিএ এর ক্ষেত্রে ৪.০০ পয়েন্ট স্কেলে ২.৫০ এর কম ও ৫.০০ পয়েন্ট স্কেলে ৩.০০ এর কম হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। বিদেশ থেকে ডিগ্রী অর্জনের ক্ষেত্রে প্রকাশিত ফলাফল (শ্রেণি/বিভাগ/জিপিএ) এর সমতুল্যতা যাচাই যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফাইন্যান্স কোম্পানি বা ব্যাংকিং পেশায় সক্রিয় কর্মকর্তা হিসেবে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত পূর্ববর্তী পদে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

নীতি মালায় বলা হয়, কোনো ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হলে তিনি কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৬২ বছর।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা এমডির নিয়োগের মেয়াদ হবে সাধারণভাবে ৩ বছর, তবে তিনি পুনঃনিয়োগের যোগ্য হবেন। পুনঃনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স যদি ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হতে ৩ বছরের কম কিন্তু অন্যূন এক বছর সময় থাকে তবে সেক্ষেত্রে উক্ত সময়ের জন্যও তাঁকে নিয়োগ দেয়া যাবে। তবে যে মেয়াদের জন্যই প্রস্তাব করা হোক না কেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর তাঁর উপযুক্ততা পরীক্ষান্তে যে মেয়াদের জন্য নিয়োগ সুপারিশ করা হবে সে মেয়াদের জন্য তাঁকে ফাইন্যান্স কোম্পানি নিয়োগ প্রদান করবে।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়