শুক্রবার

২৬ এপ্রিল ২০২৪


১৩ বৈশাখ ১৪৩১,

১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি কমেছে ৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২৭ মে ২০২৩  
৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি কমেছে ৫ শতাংশ

সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি সব গন্তব্যেই বেড়েছে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রফতানি। সেইসঙ্গে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলেছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্কের মতো নতুন বাজারে। তবে বিজিএমইএ’র তথ্যমতে, এই অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে মার্কিন বাজারে রফতানি কমেছে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ। এছাড়াও ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে আগামী মৌসুমের অর্ডারও। 
 
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত  এই অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে ৩৮ হাজার ৫৭৭ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। আগের অর্থ বছরের এই সময়ে যা ছিল ৩৫ হাজার ৩৬২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থ বছরের  তুলনায় রফতানি বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে রফতানি কমেছে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির মূল বাজার আমেরিকা ও ইউরোপে। 

গত অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি হয়েছিল ৬ হাজার ৫৯০ মিলিয়ন ডলারের, যা এই অর্থ বছরে কমে হয়েছে ৬ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ডলার। ইউরোপের হাব বলে পরিচিত জার্মানিতে প্রায় ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে এবার পোশাক রফতানি হয়েছে ৫ হাজার ১৪৭ মিলিয়ন ডলারের।

বিজিএমইএ সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, এই অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। 

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চিটাগং-এর সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ইউরোপ –আমেরিকায় রফতানি কমলেও নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে নতুন ১৫টি গন্তব্য। অপ্রচলিত হিসেবে চিহ্নিত এসব বাজার থেকে এসেছে সব মিলে ৬ হাজার ৪৪৪ মিলিয়ন ডলার।  আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৩ শতাংশ রফতানি বেড়েছে ব্রাজিলে, ৮২ শতাংশ পোশাক রফতানি বেড়েছে তুরস্কতে। আয় বেড়েছে ভারত, মালয়েশিয়া, সৌদী আরবের বাজারেও।

২০২২-২৩ অর্থবছরে পোশাক খাত থেকে ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। হিসাব বলছে, অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে আয় হয়েছে ৩৮ দশশিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বাকি দুই মাসে আরও প্রায় ৮ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করতে হবে বাংলাদেশকে।  

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়