শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়নের নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ২৫ মে ২০২৩  
রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়নের নিচে

সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। গত বুধবার রিজার্ভ কমে ২৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন বা ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমেছিল। এরপর বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের ঋণের ৫০৭ মিলিয়ন

ডলার পায় বাংলাদেশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।

একজন কর্মকর্তা জানান, বাজারে এখনও ডলারের ঘাটতি রয়ে গেছে। ডলারের চাহিদা যতটা, সরবরাহ তার তুলনায় কম। তাই প্রতিদিন ডলার বিক্রি করে জোগান দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত আর কোনো বিকল্প হাতে নেই। তাই রিজার্ভ প্রতিনিয়ত কমছে।

২০২০ সালে কভিড মহামারি শুরু হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সময় সব প্রবাসী আয় বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসে। আবার আমদানিও কমে যায়। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। ফলে বাড়ে দেশের আমদানি খরচও। তবে সেই তুলনায় বাড়েনি প্রবাসী ও রপ্তানি আয়। এই কারণে আমদানি দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপর থেকে দেশের রিজার্ভ কমতে থাকে।

ব্যাংকিং খাতের বিশ্লেষকরা মনে করেন, ডলার-সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপগুলো কাজ না করায় সংকট বরং আরও গভীর হয়েছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার পাশাপাশি একক দাম নির্ধারণের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত মার্চে অন্তত ২২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারের নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে ওই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। আগামী জুনে মজুতের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত রয়েছে সংস্থাটির।

এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে নিট রিজার্ভের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে আইএমএফ।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়