ক্যাশলেস লেনেদেন কমাবে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতির বিপ্লব ঘটেছে। আর্থিক লেনদেনের অনেকাংশ এখন মোবাইলের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারাদেশে বেশিরভাগ লেনদেন সম্পন্ন হবে ক্যাশলেস মাধ্যমে। আর মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন হলে তার একটা চিহ্ন রয়ে যায় যার মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতি শনাক্ত করা সহজ।
আজ বৃহস্পতিবার গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার এক কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেন। রাজধানীর বনানী পিআরআই কার্যালয়ে সংস্থাটি ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আর্থিক সেবার (ডিএফএস) সুযোগ ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ও পরিচালক ড. বজলুল এইচ খন্দকার ডিজিটাল আর্থিক সেবার উপর দু’টি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের উপর উত্থাপিত প্রবন্ধে বলেন, ব্যাংকগুলো এখন শাখা ভিত্তিক ব্যাংকিং থেকে বেরিয়ে এসেছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ শাখা ব্যবস্থাপনার চেয়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে খরচ অনেক কম। এর মাধ্যমে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পৌঁছে গেছে ব্যাংকিং সেবা। ফলে খুব সহজেই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারছে গ্রাহক এবং জমা রাখতে পারছেন টাকা। পাশাপাশি ঋণ গ্রহণ করতে পারছে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে। ব্যাংকিং পদ্ধতির নতুন নতুন সেবার মাধ্যমে অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে এজেন্টের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ হয়েছে ৩১ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশিরভাগই জমা করেছেন গ্রামাঞ্চলের জনগণ। অন্যদিকে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৮৫১ কোটি। মার্চ মাসে ২৫৭৮ কোটি টাকা রেমিটেন্স এসেছে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। বর্তমানে এজেন্ট সংখ্যা ১৫ হাজার ৪০৯।